সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সিরাজগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি করছেন ৬৬৮ শিক্ষক।
সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলায় এক হাজার ৬৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬৬৮ জন শিক্ষক ও চারজন অফিস সহকারী পদে চাকরি করছেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে কোনো অভিযোগ না থাকায় এতে কোনো ভুয়া নিয়োগ আছে কি না, তা যাচাইয়ের আগে বলার সুযোগ নেই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি জাগো নিউজকে জানান, আগস্টের শেষের দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) লুৎফর রহমান সই করা এক চিঠিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শিক্ষক নিয়োগের তালিকা চাওয়া হয়। অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. বিলকিস বেগম সই করা আরেকটি পত্রে চাওয়া হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা। চিঠি পাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা দিতে জেলার ৯টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানানো হয়।
এতে জেলার ৯ উপজেলায় এক হাজার ৬৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬৬৮ জন শিক্ষক নিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস মিলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চারজন অফিস সহকারী কর্মরত রয়েছেন।শিক্ষা কর্মকর্তা আরও জানান, এসব নিয়োগের তালিকা এরইমধ্যে অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে এদের বিষয়ে কোনো অভিযোগ নেই। নির্দেশমতো তালিকা পাঠানো হয়েছে।তবে এসব নিয়োগে যদি কোনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান থাকে তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেটা খতিয়ে দেখবে বলে তিনি জানান।