মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ

 পাবনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম বাবলু ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন বেশ কিছু সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা। 


৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। 

মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের  অভিযোগ
ছবি ঃ সংগৃহীত 

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ডের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পাবনা মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা ও উপজেলা ইউনিট কমান্ডের যৌথ উদ্যোগে কর্মসূচি পালিত হয়মানববন্ধনে বীরমুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করে বলেন, ‘সাইফুল ইসলাম বাবলু দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নিয়ন্ত্রণ নিতে নানা অপকর্ম করে আসছেন। তার মতের বিরুদ্ধচারণ করলে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লেগে পড়েন এবং অসত্য অভিযোগ করে নানাভাবে হয়রানি করেন। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বিড়ম্বনায় ফেলে তা সমাধান করে দেয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নেন।’ সাইফুল ইসলাম বাবলুর শাস্তি দাবি করেন তারা।


তারা আরও অভিযোগ করেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের অন্যতম প্রধান শর্ত লাল মুক্তিবার্তা ও বিভিন্ন গেজেটে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের বিভিন্ন ধাপ পার হয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পেয়ে আসছেন। গত ২৩ আগস্ট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম বাবলু ও তার সহযোগী কর্তৃক অনেক মুক্তিযোদ্ধার নামে অসত্য অভিযোগ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে দাখিল করে ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত পত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের আবারও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ডাকা হয়েছে। যা আমাদের জন্য অপমানজনক।’


পাবনা মুক্তিযোদ্ধা হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পাবনা সদর উপজেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবাদত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ প্রমুখ।। মানববন্ধনে ঘোষিত ৭ দফা দাবি আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পূরণ করা না হলে পাবনা থেকে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ভুক্তভোগীরা। 


অভিযোগের বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সাইফুল আলম বাবলু বলেন, ‘পাবনা সদর উপজেলার ভারত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগের ভিত্তিতে জামুকাতে শুনানিতে অনেকে মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে মন্ত্রী তাদের গেজেট বাতিল করেন। যা বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যম প্রকাশিত হয়। ৫১ জন মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল ও অভিযোগের ভিত্তিতে আরও ৫০ জনের শুনানি চলছে। এ সব কারণে ওই মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুদ্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

সূত্র ঃ রাইজিং বিডি

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম