মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান আ.লীগ কখনও ভুলবে না: প্রধানমন্ত্রী

 বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কখনও ভুলবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দল-মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার অবদানকে তার দল বা তিনি ছোট করে দেখেন না বলে জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।  


সোমবার (২১ নভেম্বর) সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন।সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে দেশকে গড়ে তুলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবদান তা কখনোই আমরা ভুলিনা। তাই আমরা বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি।

ছবি ঃ সংগৃহীত 

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যারা আমার বাবার ডাকে অস্ত্র তুলে নিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছেন তাদের সম্মান করা, মর্যাদা দেওয়াই আমাদের কাজ। দল মত পৃথক থাকতে পারে, কিন্তু তাদের অবদান আমি কখনও ছোট করে দেখিনি, অবহেলা করিনি।’


শেখ হাসিনা বলেন, কেউ কখনও মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করবে না। ভবিষ্যতে কেউ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারকে অবহেলার চোখে দেখবে না।তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করেছে এবং এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, তাঁরা অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধান করছেন এবং তাদের সুবিধাগুলো যেমন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিশ্চিত করতে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

একটানা তিনবার ক্ষমতায় থাকতে পেরেছেন বলেই মানুষের জন্য কিছু কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব মুক্তিযোদ্ধা একেবারে অবহেলিত পড়েছিল সরকার তাদের খুঁজে বের করে সবধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। তাদের ভাতার ব্যবস্থা করা, মারা গেলে রাষ্ট্রীয় সম্মানের ব্যবস্থা এমনকি তাঁদের দাফনের ব্যবস্থাও আমরা করছি।বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আপনাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) অবদান চিরকাল মনে রাখব। আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করছি। তরুণ প্রজন্ম যদি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি দেখে বিজয়ের ইতিহাস জানতে পারে, তাহলে তারা অনুপ্রাণিত হবে এবং জানবে কীভাবে দেশের জন্য কাজ করতে হয়।


শেখ হাসিনা বলেন, এ লক্ষ্যে সরকার প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করছে এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেখানে জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, স্বাধীনতা ও পাকিস্তানি দখলদারিত্বের পর দেশ পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে সেটি সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নিয়েছে।

সূত্র ঃ এবিনিউজ

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম