মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, কিলো ফ্লাইটের বীর বৈমানিক ও তাদের উত্তরাধিকারীদের গতকাল রোববার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান, সংবর্ধনা দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিমানবাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন সেক্টরে জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
অন্য দিকে কিলোফ্লাইটের সদস্যরা আকাশ যুদ্ধে তৈরি করেছিলেন এক বিরল উদাহরণ। তাদের এই অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। তাদের প্রাপ্য সম্মানের স্বীকৃতিস্বরূপ সশস্ত্রবাহিনী দিবস-২০২২ উপলক্ষে ঢাকার তেজগাঁওস্থ বিএএফ শাহীন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কিলো ফ্লাইটের বৈমানিকসহ মোট ২৮ জনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিমানবাহিনী প্রধান অনুষ্ঠানে উপস্থিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, কিলো ফ্লাইটের বৈমানিক ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সাথে কুশলবিনিময়, উপহারসামগ্রী প্রদান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন।
ছবি ঃ সংগৃহীত |
বিমানবাহিনী প্রধান তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে মাত্র তিনটি বিমান নিয়ে যে বিমানবাহিনীটির জন্ম হয়েছিল, তা আজ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার, বিভিন্ন ধরনের র্যাডার, ক্ষেপণাস্ত্র এমনকি ওভারহলিং প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ। অপারেশনাল ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে এবং বেশ কিছু প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
খেতাবপ্রাপ্ত বিমানবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা ও কিলোফ্লাইটের সদস্যদের সাহসী অবদান ও আত্মত্যাগ বিমানবাহিনীর বর্তমান সদস্যদের দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত করে। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসাররাসহ বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র ঃ নয়া দিগন্ত