মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা হত্যা মামলার বিষয়ে যা বললেন রিজভী

 জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সরকারের নির্দেশেই জিয়াউর রহমানকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 


খালেদ মোশাররফসহ তিন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা হত্যার কয়েক দশক পর করা মামলার প্রসঙ্গ টেনে শুক্রবার সকালে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে রিজভী এই অভিযোগ করেন।তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক মহান রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন নতুনভাবে তার বিরুদ্ধে মামলাটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা এবং তার সরকার এখন ডুবুডুবু অবস্থা। এই ডুবন্ত অবস্থা থেকে জনগণকে একটু যদি বিভ্রান্ত করা যায় সেজন্য। এতে কোনো লাভ হবে না।

মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা হত্যা মামলার বিষয়ে যা বললেন রিজভী


জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা-১২ আসনের বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্নাসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচি হয়।


জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির মীর সরাফত আলী সপু, আবদুল খালেক, যুবদলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।


রুহুল কবির রিজভী বলেন, যিনি মামলা করেছেন তিনি মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হুদার (নাজমুল হুদা) মেয়ে। তার মা (নীলুফার হুদা) একটা বই (‘কর্নেল হুদা ও আমার যুদ্ধ’) লিখেছেন। তাতে বলা হয়েছে, খালেদা মোশাররফ এবং কর্নেল হুদাকে রক্ষার জন্য কর্নেল নওয়াজিসকে জিয়াউর রহমান নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার মায়ের লেখা বইটি পড়ে দেখেননি। নিজের মায়ের লেখা বইকে অগ্রাহ্য করে শেখ হাসিনার কথায় তিনি মামলা করলেন? 


নীলুফার হুদার লেখা আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘কর্নেল হুদা ও আমার যুদ্ধ’র প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, আমরা ওই বইটা আপনাদের পড়ে দেখতে বলব। যারা জড়িত তাদের সঙ্গে এখন শেখ হাসিনার সখ্য। তাই তার নাম বলেননি। আর যাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য জিয়াউর রহমান বলেছেন সেই জিয়াউর রহমানের নামে মামলা দিচ্ছেন।


তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করা, তারা শহিদ হলেও, মারা গেলেও তাদের নানাভাবে কালিমা লিপ্ত করাই হচ্ছে বর্তমান সরকার প্রধানের কাজ। এর কারণ হলো শেখ হাসিনার একটা অনুশোচনা আছে। তিনি বা তার স্বামী মুক্তিযুদ্ধে যাননি, তার পরিবারেও তেমন মুক্তিযুদ্ধে কোনো অবদান নেই। এই কারণে এটি করছেন।


রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, কালোটাকা দিলে নিয়েন কিন্তু স্বাধীনভাবে ভোট দিয়েন। একটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান এই কথা বলতে পারেন। তিনি শেখ হাসিনার আদর্শ, লুটপাট আর দুর্নীতির চেতনায় অনুপ্রাণিত বলেই কালোটাকা নেওয়ার কথা বলতে পারেন। কালোটাকার পক্ষে এ অনৈতিক কথা বলার জন্য কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত।

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম