বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্বশুরকে হত্যা করেছে মেয়ে জামাইউ sainiktvnews

 গোপালগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্বশুরকে বটি দিয়ে কুপিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করেছে মেয়ে জামাই।গোপালগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্বশুরকে বটি দিয়ে কুপিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করেছে মেয়ে জামাই।


৫ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের চর ঘাঘা ধলইতলা এলাকায় এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত বাদশা গাজী (৮০) ওই এলাকার আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে। ঘটনার পর ঘাতক জামাই মুরাদ হোসেন মোল্লাকে (৪১) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, জুম্মার নামাজ শেষে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন বাদশা। এবাটি দিয়ে কুপিয়ে সময় জামাই মুরাদ বটি দিয়ে শ্বশুর বাদশার গলায় কোপ দেয়। এতে বাদশার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা মুরাদকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।


পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুরাদের স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তানিয়া রহমান জানান, ১০ বছর আগে পার্শ্ববর্তী নড়াইল জেলার আব্দুস সাত্তার মোল্লার সৌদি প্রবাসী ছেলে মুরাদের সঙ্গে বিয়ে হয় তার।তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি থেকে শ্বশুরবাড়ি ঘাঘা ধলইতলা আসেন মুরাদ। এরপর থেকে তানিয়ার বাবা মুরাদকে তাবিজ-কবজ করে রাখে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্বশুরকে হত্যা করেছে মেয়ে জামাইউ sainiktvnews


 এ কারণে মুরাদ নিজের বাড়িতে না গিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। এতে একসময় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন মুরাদ। এ কারণেই মুরাদ তার বাবাকে হত্যা করে থাকতে পারে বলেও পুলিশের কাছে জানান তানিয়া।গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক আশরাফ হোসেন জানান, ঘটনার পর জামাই মুরাদ হোসেন মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটিটি জব্দ করা হয়েছে। বাদশা গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মারুফ রেজা জানান, নিহত বাদশা গাজী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। লাল তালিকায় নামসহ মুক্তিযোদ্ধার সনদ রয়েছে তার।

সূত্র সময় সংবাদ 



নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম