বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবাসীদের আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে বিমানবন্দরে আলাদা কাউন্টার করার জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী ওই কথা বলেন।বিমানের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, বিমানের অব্যবস্থাপনা কতটা আছে, সেটি আরও খতিয়ে দেখতে হবে।
তবে তিনি মনে করেন, বিমান বেশ ভালো ও লাভজনকভাবেই চলছে। যাত্রীসেবা দিয়ে যাচ্ছে।মন্ত্রী ফারুক খান বলেন, যদি বিমানকে নিয়ে এমিরেটস বা এদের মতো তুলনা করেন, তাহলে কিন্তু সঠিক হবে না। সীমিত এয়ারক্রাফট নিয়ে চলতে হয়। এয়ারক্রাফটে টেকনিক্যাল (কারিগরি) ত্রুটি মাঝেমধ্যে হয়ে যায়। এ ছাড়া শীতকালে কুয়াশার কারণে সমস্যা হয়। এগুলোকে মনে রাখতে হবে। এগুলোর জন্য অনেক সময় দেরি হয়, যাত্রায় অন্যান্য সমস্যাগুলো তৈরি হয়। এর মধ্যেও বিমান চেষ্টা করে যাচ্ছে। আরও উন্নতি কীভাবে করা যায়, নতুন বিমান কেনার ব্যাপার নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।বিমানমন্ত্রী বলেন, বিমানের মধ্যে কিছু সমস্যাও তো আছে। সেই সমস্যাগুলো ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। বেশ কিছু লোককে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে দুজন পালিয়ে গেছেন। তাঁদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যিনি বাংলাদেশে আছেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যিনি কানাডায় পালিয়ে গেছেন, ইতিমধ্যে তাঁর পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এ ধরনের অন্যান্য ব্যাপার, যেখানে কিছু দুর্নীতির ব্যাপার আছে, এগুলোকে খতিয়ে দেখছেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।ভারতে বাংলাদেশিদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। অন-অ্যারাইভাল ভিসার ব্যাপারটি শুধু ভারতের সঙ্গেই নয়, সারা পৃথিবীর সঙ্গেই, বিশেষ করে পর্যটকেরা যাতে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পান, সেগুলো নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন।
বিমানমন্ত্রী বলেন, কেবল দায়িত্ব শুরু করেছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে এসব ব্যাপার নিয়ে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
সূত্র প্রথম আলো ৩০ জানুয়ারি ২০২৪