সোনারগাঁয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভবন ও স্কুলের জায়গা দখলের প্রতিবাদে কানকাটা মতিনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজ ও মুক্তিযোদ্ধা ভবনের জায়গা জোর পূর্বক দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার সকালে উপজেলার প্রতাপনগর এলাকায় মেঘনা শিল্পনগরী সরকারী স্কুল এন্ড কলেজের সামনে শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা, অভিভাবক ও কয়েক হাজার এলাকাবাসী ভূমিদস্যূ কানকাটা মতিনের শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
মানববন্ধনে মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো.ওবায়দুল হক জানান, গত বৃহস্পতিবার ভূমিদস্যূ কানকাট মতিন ২০-৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী সঙ্গে নিয়ে স্কুলের জায়গায় অবস্থিত মার্কেট ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভবনের জায়গা মতিনের দাবি করে সাইনবোর্ড সাটিয়ে দেয়। অথচ গত ২০১১ সাল থেকে আমি এই স্কুল কর্মরত আছি, কখনো কাউকে স্কুল মার্কেটের জায়গা দাবিদার হিসেবে দেখতে পাইনি। এই ভুমিদস্যূ মতিন বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।
সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা বলেন, সরকারি অনুমতিতে প্রতাপনগর এলাকায় সরকারী খাস খতিয়ানে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা গত প্রায় ২০ বছর যাবত একটি ভবন নির্মাণ করে নিয়মিত অফিস করে আসছি। এখন ঝাউচর গ্রামের মৃত পীর মোহাম্মদের ছেলে চিহ্নিত ভূমিদস্যূ কানকাটা মতিন বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে আতাত করে সরকারী স্কুল ও মুক্তিযোদ্ধা ভবনের জায়গাটিতে সাইনবোর্ড সাটিয়ে জবর দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, কানকাটা মতিন গত ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মেঘনা শিল্পনগরী এলাকায় ১০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জায়গা কেনার দালালি করেন। সে সময় এলাকাবাসীর কাছ থেকে ১ শতাংশ জায়গা কিনার কথা বলে প্রতারণা করে মানুষের কয়েক বিঘা জায়গা লিখে নিয়ে সে কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়। সে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায়। পরে ২০০৫ সালের দিকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেই এলাকাবাসী ভূমিদস্যূ কানকাটা মতিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে তার বাড়ি ঘেরাও করলে সে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পর আবারও মানুষের জায়গা জমি দখল করতে ভূমিদস্যূ কানকাটা মতিন বেপরোয়া হয়ে উঠে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, সোনারগাঁ ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের মাধ্যমে ভূমিদস্যূ বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন, অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
উত্তরাধিকার একাত্তর।