চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ভোররাতের বৃষ্টিতে।
![]() |
| ছবি ঃ সংগৃহীত। চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ভোররাতের বৃষ্টিতে। |
ভোররাতের বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতের এই বৃষ্টিতে কোথাও গোড়ালিসমান, কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানি ওঠে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই পানি জমে রয়েছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আজ অফিস খুলেছে। সাতসকালে বিশেষ করে অফিসের উদ্দেশে বের হওয়া কর্মজীবীরা জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন।গত বছরও ঈদের সময় বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল।
আজ ভোররাতের বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বাকলিয়া, ডিসি রোড, চকবাজার ও চান্দগাঁও এলাকায় জলাবদ্ধতা লক্ষ করা যায়।নগরের চকবাজার মুহাম্মদ আলী শাহ দরগাহ লেনের বাসিন্দা আবদুল হামিদ বলেন, গত বছর ঈদের দিন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল। এবার ঈদের তৃতীয় দিন হলো। একবার পানি উঠলে নামতে তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগে। উৎসবের সময় এভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে আনন্দ মাটি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন >>আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছে এই নিয়ে যে আলোচনা তুঙ্গে।
নগরের ডিসি রোড এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের ছুটি শেষে আজ সকালে তাঁকে অফিসে যেতে হয়। ঘর থেকে বের হয়েই তিনি জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়েন। তিনি জানান, রাস্তায় বের হয়ে হাঁটু পরিমাণ পানি পান। সড়কে রিকশা ছিল না। তাই তাঁকে ময়লা পানি পেরিয়ে অফিসে যেতে হয়।জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে ক্ষুব্ধ এই চাকরিজীবী প্রথম আলোকে বলেন, 'ময়লা-আবর্জনা জমে অনেক খাল ভরাট হয়ে গেছে। তাই বৃষ্টির পানি নামতে পারছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানি জমে থাকছে। এভাবে আর কত বছর এই দুর্ভোগে পোহাতে হবে?
আরও পড়ুন >>মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সহ জোড়া খুন ঈদের দিনে
চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। কিন্তু প্রকল্পগুলোর কাজের অগ্রগতি কম। এ কারণে তিন থেকে চার বছর ধরে কাজ চললেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না নগরবাসী।ভোররাতের বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতা
