মহান মুক্তি মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ১৬ বীরাঙ্গনার স্মৃতি নিয়ে রচিত বইয়ের মোড়ক উম্মোচন রাণীশংকৈল উপজেলায়

 

মহান মুক্তি মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ১৬ বীরাঙ্গনার স্মৃতি নিয়ে রচিত গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন রাণীশংকৈল উপজেলায়
ছবিঃসংগৃহীত 


আজকের মুক্তিযোদ্ধা খবরঃমহান মুক্তি মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ১৬ বীরাঙ্গনার স্মৃতি নিয়ে রচিত বইয়ের মোড়ক উম্মোচন রাণীশংকৈল উপজেলায়।ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪০জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ১৬জন বীরাঙ্গনার প্রত্যক্ষ স্মৃতি নিয়ে রচিত "বিজয়ের ময়দানে রাণীশংকৈল" নামে একটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়েছে।


সোমবার দুপুরে রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রসাশন আয়োজিত বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানে বইটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উম্মোচন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান এবং গেস্ট অব অনার ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াসিন আলী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি সইদুল হক, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান শেফালী বেগম, আ.লীগ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহাম্মেদ, পৌর আ.লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির ষ্টিভের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, আব্দুল মোতালেব, রিয়াজুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, প্রেসক্লাব আহবায়ক কুসমত আলী। 


এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাংবাদিকরা ।বইটিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণের প্রেক্ষাপট, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী হানাদারের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ লড়াইয়ের ঘটনাবলী, যুদ্ধকালীন পরিবারের যন্ত্রনা ও নির্যাতন, যুদ্ধ থেকে ফিরে আসার পর পরিবারের অনুভূতি এবং স্বাধীন বাংলাদেশকে কিভাবে দেখতে চান এমন পাঁচটি বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।


বইটির সম্পাদনা করেছেন রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির ষ্টিভ। বইটির পৃষ্টপোষকতা করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক জেলা প্রশাসক ড.কে এম কামরুজ্জামান সেলিম ও বর্তমান জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান।এসময় বইটির সম্পাদক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নাইন বলেন, আমি রাণীশংকৈলে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরেই বইটি প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহন করি। এর আগে যেখানে ছিলাম সেখাও একটি বই প্রকাশ করেছিলাম। উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখতে এই বইটি নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন ও বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে জানানোর জন্য এটি একটি চমৎকার আইডিয়া। আমি এর পর প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলবো তাদের ন্জি উপজেলায় এমন বই প্রকাশের উদ্যোগ নিতে। উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে বইটি অবশ্যই সহযোগীতা করবে বলে আমি শতভাগ আশাবাদী।


সূত্রঃজনকন্ঠ ৩০ মে ২০২২

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম