জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রুইন্দ্র মারাকের একমাত্র সন্তান সুবেন্দ্র সাংমা সরকারি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বঞ্চিত হয়ে আসছে। এমন অভিযোগ এনে সুবেন্দ্র সাংমা স্থানীয় প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, সুবেন্দ্র সাংমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুইন্দ্র মারাক তাদের গারো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় রীতি অনুসারে শ্বশুর বাড়ীতে থাকতেন। শ্বশুর বাড়ি বকশিগঞ্জ উপজেলার দিগলাকোনা গ্রামে। বীর মুক্তিযোদ্ধা রুইন্দ্র মারাক অসুস্থ্যজনিত কারণে বিগত ১৯৭৫ সালের ৩০ অক্টোবর পরলোক গমন করেন।
ছবি ঃ সংগৃহীত |
যার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা পরিচিতি নম্বর ০১৩৯০০০২৮৩৫, মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা ১৬৩১১ ও লাল মুক্তিবার্তা ০১১৩০৭০৩৬৬ নম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা রুইন্দ্র মারাক নামে লিপিবদ্ধ আছে। তাঁর পিতার নাম জারং সরমা, মাতা কংমি মারাক।
সুবেন্দ্র সাংমার পিতার মৃত্যুর কিছুদিন পর মাতা রিনীকা সাংমাও মৃত্যুর বরণ করেন। পিতা-মাতার মৃত্যুর পর তাদের ঔরষজাত একমাত্র সন্তান সুবেন্দ্র সাংমাকে দাদার বাড়ীতে রেখে আসে। সুবেন্দ্র সাংমার দাদার বাড়ী পার্শ্ববতী শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়ার নওকুচি গ্রামে। স্বাধীনতা পরবর্তীতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধারা অসামান্য অবদান রাখায় সরকার বাহাদুর তাঁদের সম্মানে সরকারি ভাতার আওতায় আনে।
সুবেন্দ্র সাংমা জানায়, পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুইন্দ্র মারাক ইন্তেকাল হওয়ার পর তাঁর শ্যালক এবেন্দ্র সাংমা নিজেকে রুইন্দ্র মারাক দাবী করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সহ সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে আসছিল। যা এবেন্দ্র সাংমা মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মিলন মারাক গংরা ভোগ করে আসছে। এবেন্দ্র সাংমা বকশিগঞ্জ উপজেলার দিগলাকোনা গ্রামের জাংবান মারাকের পুত্র। মাতা খিমজি সাংমা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে জরুরী ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদানে দাবী জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রুইন্দ্র মারাকের পুত্র সুবেন্দ্র সাংমা।
এ ব্যাপারে বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুন মুন জাহান লিজা জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে।