নোয়াখালীতে বাবার নামে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ তৈরি করে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নেয়ার দায়ে মো. আরিফুল ইসলাম নামের এক যুবককে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন। আরিফুল ইসলাম চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে।
নোয়াখালী জেলা দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুপুরে মামলার শুনানি শেষে বিচারক আসামিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড ও তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বর্তমানে আরিফুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।’
ছবি ঃ সংগৃহীত |
মামলার বিবরণ দিয়ে দুদকের পিপি জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ২০১২ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের সময় নিজের বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করে ভুয়া সনদ দেন। এরপর আসামি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নেন এবং রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন।
** মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল
নিয়োগের কিছুদিন পর বিষয়টি জানাজানি হয়। তদন্তে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। তখনই আরিফুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৩ সালে পুলিশ লাইনের তৎকালীন রিজার্ভ অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে চাটখিল থানায় মামলা দায়ের কসর্বশেষ মামলাটি তদন্তভার পায় দুদক। দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয় তদন্ত শেষে বরখাস্তকৃত পুলিশ কনস্টেবল আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।