সাতক্ষীরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত

 আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। প্রতিবাদে বুধবার (১৭ মে) বিকেলে বুধহাটা আঞ্চলিক প্রেসক্লাবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।


লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. জাহিদ হাসান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান,দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীকে পরাস্থ করে এক স্বাধীন সর্বভৌম উপহার দেয় বাঙালি জাতিকে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে সেই স্বাধীন দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে সেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত করা হয়।

সাতক্ষীরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত

আর যার নেতৃত্বে ছিলেন কুন্দুড়িয়া ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান, স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও নাশকতা মামলার আসামী আনারুল হোসেন। লিখিত বক্তব্যেছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গত ১৬ মে বুধহাটা ইউনিয়নের কুন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিযোগের তদন্তকালে ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান ও তার আপন সহদর ভাই নাশকতা মামলার আসামি আনারুল হোসেন এবং তাদের দলবল একজোট হয়ে আব্দুল গফুরের মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা সংগ্রামী খেতাবকে নিয়ে কটুক্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তাদের এ ধরণের বক্তব্যে শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের নয়, জাতিকে অপমানের সামিল বলে মনে করেন তারা। ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসকল স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


এব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি। তবে ঘটনাস্থলে তদন্তের শেষ পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর গফুর ও তার ভাই আমিনুর রহমান আমার আপর চড়াও হলে আমার ভাই আনারুল ইসলাম ও উপস্থিত আমার সমর্থকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়।


নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম