বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের স্থগিত আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এ বিষয়ে সংসদের আজীবন প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা। শুক্রবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের স্থগিতকৃত নির্বাচনের ‘স্মার্ট প্যানেল’র পক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন দিতে হবে। এটা করা গেলে নির্বাচিত নেতৃত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মাঠে ময়দানে কাজ করার সুযোগ পাবেন।বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন হলে সমস্যা হবে- এমন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সাজানো কল্পকাহিনী তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। অথচ এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের আলাদা কোনো প্যানেল বা প্রার্থী ছিলেন না। মূলত বঙ্গবন্ধুর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনে যারা মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছিলেন, তাদের সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। তারা আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা ও নৌকার পক্ষে আছেন। বিপরীত আদর্শের কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। নির্বাচন নিয়ে কোথাও সামান্য মনোমালিন্য পর্যন্ত হয়নি। তা সত্ত্বেও দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়ার পরও ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ১৩ মে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন স্থগিতের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। শেষ বয়সে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মনে কষ্ট দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীই মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ আশ্রয়স্থল। প্রধানমন্ত্রী যেন গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তদন্ত করে দেখেন- কারা মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলে নির্বাচন স্থগিতের মতো এমন ঘৃণ্য কাজ করলেন?
বিবৃতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন প্রক্রিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, সচিব, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিসহ সদস্যরা, জামুকার সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।বিবৃতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে স্বাক্ষর করেছেন কেএম মোজাম্মেল হক, সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, আনোয়ার হোসেন পাহাড়ি বীরপ্রতীক, প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূঁইয়া, আবদুল করিম সরকার, তাজুল ইসলাম, শাজাহান মৃধা বেনু, শাহাবুদ্দিন, নুরুল ইসলাম মোল্লা, মোশারফ হোসেন, কফিল উদ্দিন মোল্লা, কবির আহমেদ, মো. শাজাহান, ফরিদুল ইসলাম, শাজাহান সর্দার, মোয়াজ উদ্দিন, আমান উল্লাহ, ড. শহীদুল ইসলাম, মাহফুজুল ইসলাম, আহমেদ উল্যা রতন, এবি সিদ্দিক মোল্লা, আবুল কাসেম এবং জামাল খা।