কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অসদাচরণ, দুর্ব্যবহার ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার প্রতিবাদে দৌলতপুরের সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।
গত শনিবার উপজেলাব্যাপী মাইকিং করে গতকাল সকাল ৯টায় দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। মাইকিংয়ে শোনা গেছে,
‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা জনতা গড়ে তোলো একতা, দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অবহেলার প্রতিবাদে আজ সকাল ৯ ঘটিকার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত প্রতিবাদ সভায় সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-নাতনি এবং দৌলতপুর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ মানববন্ধনে দলে দলে যোগদান করে বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলুন ওসি রফিকুলের অপসারণ চাই।’ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন দৌলতপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেকেন্দার আলী। এ বিষয়ে তিনি জানান, আমাদের একজন মুক্তিযোদ্ধা ভাই মসলেম উদ্দিনকে কিছু সন্ত্রাসীরা দিনদুপুরে মারপিট করে। তার বিচার চেয়ে আমরা ৭-৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসি রফিকুলের কাছে যায়। থানায় তার রুমে প্রবেশ করলে দেখি তিনি চেয়ারের উপর পা রেখে সিগারেট টানছেন। আমাদের বসতেও বলেননি তিনি। তারপরেও আমরা চেয়ারে বসে থাকি। অনেকক্ষণ বসে থাকার পর একপর্যায়ে তার কাছে বিষয়টি খুলে বলার চেষ্টা করলে তিনি হাতে সিগারেট টানতে টানতে আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণ করে তার অফিস থেকে চলে যেতে বলেন এবং কোর্টে বিচার চাইতে উপদেশ দেন।ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কোনো অন্যায় কাজ করিনি। আমি সবসময় অন্যায়ের বিপক্ষে এবং ন্যায়ের পক্ষে। তারপরেও যদি আমার বিপক্ষে কেউ মানববন্ধন করে তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
সূত্র মানব জমিন ৮ এপ্রিল