ফায়ার সার্ভিসের শহীদের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও
স্বাধীনতার চুয়ান্ন তম বছরে ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধার’ স্বীকৃতি পায়নি শফি উল্লাহ।ফেনীর দাগনভুইয়ার বাসিন্দা স্বাধীনতা যুদ্ধে নওগার মহাদেবপুরে শহীদ হয়ে ফায়ার সার্ভিসের অবহেলার কারণে এখনো স্বীকৃতি পায়নি বীর মুক্তিযোদ্বা শফি উল্লাহ।
ফেনী জেলার দাগনভুইয়া উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা শফি উল্লাহ নওগাঁর মহাদেবপুরে ফায়ার সার্ভিসের ড্রাইভার থাকা কালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শফি উল্লাহসহ এগারো জন শহীদ হয়েছেন। তাদের স্মরণে জেলা পরিষদের তৌরন স্মৃতি স্তম্ভসহ প্রতিবছরই পরিবারকে পুরস্কার ও ক্রেস্ট প্রদান করে আসছেন ।
শহীদ শফি উল্লাহর ছোটছেলে সাইফুর রহমান রতন দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানান, ছোটবেলা পিতাকে হারিয়ে মা ভাইবোন নিয়ে সংগ্রামী জীবন অতিক্রম করছি। পিতা স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। অথচ শহীদের ভাতা নেই, স্বীকৃতি ও নেই। নওগাঁর ফায়ার সার্ভিসের অবহেলার কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নাম গেজেটেড হয়নি। সকল ফায়ার সার্ভিসের অফিসে শহীদের তালিকায় নাম রয়েছে আমার পিতার।রতন আরো জানান, নওগাঁর মহাদেবপুরে স্হানীয় চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, স্হানীয় সংসদ সদস্যদের এবং ফেনী তিন আসনের সংসদ সদস্যদের প্রত্যায়ন পত্র নিয়ে বহু দপ্তরের কাছে আবেদন নিবেদন করে কোন প্রতিকার পেলাম না। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যান মন্ত্রনালয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের শহীদের তালিকায় প্রেরণ না করায়, শহীদদের নাম গেজেটে উল্লেখ করা হয়নি। সকল দপ্তরের তালিকায় প্রেরণ করা হয়েছে। কোন অজানা কারণে ফায়ার সার্ভিসের অফিস থেকে শহীদ দের তালিকা প্রেরণ করা হয়নি। যার প্রেক্ষিতে সরকারি সুযোগ সুবিধা ও শহীদ পরিবার ভাতাসহ স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হলো। এর দায়ভার কে নিবে। শহীদ শফি উল্লাহর পরিবারের দাবি বাংলাদেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা বেতন ভাতা সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। আমরা জীবনযুদ্ধে হেরে যাচ্ছি।
একটি শহীদ পরিবারের করুন আর্তনাদ, তাদের দুঃখ কষ্টের জীবন, যেন দেখার কেউ নেই। শহীদ শফি উল্লাহ বৃদ্ধা, অসুস্থ স্ত্রী মানকিরের নেছা আরাধন বেগম এর আকুতি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তিনি যেন স্বামীর স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধার গেজেট শহীদের নাম প্রকাশ পায়, সে প্রত্যাশার প্রহর গুনছেন। তার অনুপস্থিতিতে সন্তানেরা যেন মুক্তিযোদ্বার সন্তান পরিচয় দিতে পারে সে দাবি রাখছেন সংশ্লিষ্টদের কাছে।
ছেলে সাইফুল ইসলাম রতনের ছবি সহ পিতার ছবি তাদের কাছে নেই। সূত্র স্বদেশ প্রতিদিন