বীর মুক্তিযোদ্ধার দেহাবশেষ করব থেকে উত্তোলন স্ত্রীর মামলায় আড়াই বছর পর

 বীর মুক্তিযোদ্ধার দেহাবশেষ করব থেকে উত্তোলন স্ত্রীর মামলায় আড়াই বছর পর

বীর মুক্তিযোদ্ধার দেহাবশেষ করব থেকে উত্তোলন স্ত্রীর মামলায় আড়াই বছর পর
ছবি সংগৃহীত বীর মুক্তিযোদ্ধার দেহাবশেষ করব থেকে উত্তোলন স্ত্রীর মামলায় আড়াই বছর পর


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আব্দুল ওয়াহিদ নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর আড়াই বছর পর মরদেহের হাড় ও মাথার খুলি ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।শনিবার (৭ মে) দুপুরে উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণহাতা নারুই কবরস্থান থেকে মরদেহটির দেহাবশেষ উত্তোলন করা হয়।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন এবং পুলিশ সদস্যরাএ সময় সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন >> মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সহ জোড়া খুন ঈদের দিনে

২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মারা যান। ঘটনার প্রায় দুইবছর পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তার স্ত্রী হোসনা বেগম আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২২ নভেম্বর মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেননের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হবে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা কবরের সঠিক স্থান দেখাতে না পারায় মরদেহটি উদ্ধারে বিলম্ব হয়। কবর শনাক্তের পর মাথার খুলি ও ৮৭টি হাড় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হচ্ছে।


আরও পড়ুন >> বকেয়া মন্মানি ভাতা আর্থিক মঞ্জুরি জ্ঞাপন

প্রতিবেশী হাশেম মিয়া-আবুল খায়েরের পরিবারের সঙ্গে বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হাশেম-খায়েরের পরিবারের সদস্যদের হামলায় নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় স্থানীয় মাতব্বররা হত্যা ও জায়গার বিরোধ মীমাংসা করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এ অবস্থায় কোনো প্রকার মামলা ও ময়নাতদন্ত ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদের মরদেহটি দাফন করা হয়।

আরও পড়ুন >> বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর

ঘটনার পাঁচদিন পরই শালিস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাশেম-খায়েরের পরিবারের বসতভিটা নিহতের পরিবারকে লিখে দিয়ে গ্রাম থেকে চলে যেতে বলা হয়। রায় মেনে নিলেও পরবর্তীতে টালবাহানা করেন অভিযুক্তরা। ফলে ঘটনার দুই বছর পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে নিহতের স্ত্রী হত্যা মামলা করেন। নভেম্বরে আদালত মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন। ফলে শনিবার মরদেহটির হাড় ও মাথার খুলি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।




নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম