ছবিঃসংগৃহীত |
রাজবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ডাকাতি।রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন ফেরদৌসের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাত দল বাড়ির লোকজনকে মারধর করে টাকা ও সোনার গয়না লুট করে নিয়ে গেছে। এ নিয়ে উপজেলায় পরপর তিন দিন রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটল। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন ফেরদৌসের বাড়ি নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে। তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটের সাবেক কমান্ডার।
আবদুল মতিন ফেরদৌস বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো আমরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে একদল ডাকাত বাড়িতে প্রবেশ করে। ডাকাতেরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে এক দল ঘরের দরজা ভেঙে আমার ঘরে প্রবেশ করে আর অপর দল আমার ভাগনে সৈয়দ মনজুরুল হকের ঘরে প্রবেশ করে। আমার ঘরে ডাকাত দল আসার পর আমি মারধর ও ভাঙচুর না করতে অনুরোধ করি। আলমারির চাবি দিয়ে দিই। এ সময় ডাকাত দল আমার আলমারি থেকে সোনার গয়না ও প্রায় ২০ হাজার টাকা লুট করে। আমার ভাগনের ঘর থেকে ৪৪ হাজার টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে গেছে। ডাকাত দল আমার ভাগনের ছেলে সৈয়দ রুবেল ও গাড়িচালক আবদুল কুদ্দুসকে মারধর করেছে। ডাকাত দল দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর আমরা থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।’
নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসান আলী বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলায় পরপর তিন দিন ডাকাতির ঘটনা ঘটল। টাকা ও সোনার গয়না লুট করার পাশাপাশি ডাকাতেরা মানুষকে মারধরও করছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি চক্র এই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তারাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটাচ্ছে। এই দলকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত ডাকাতি থামবে না। ডাকাত দলকে আইনের আওতায় আনার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত সোমবার রাতে বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে এবং মঙ্গলবার রাতে নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের প্রবাসী দুই ভাইয়ের বাড়িতে ডাকাতি ও মারধর করার ঘটনা ঘটে।
সূত্রঃপ্রথম আলো