অনেকে বাদ পড়েছেন মুক্তিযুদ্ধের খেতাব প্রাপ্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী



 স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের কারণে ১৯৭২ সালে দেওয়া খেতাব যথাযথভাবে হয়নি বলে মনে করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, যাঁরা খেতাব পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কোনো বৈরিতা নেই। কিন্তু যাঁরা পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের অনেকে বাদ পড়েছেন।


আজ বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। ‘বিশ্বযুদ্ধ থেকে মুক্তিযুদ্ধ: অপরাজেয় মেয়র আফসার’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অন্যপ্রকাশ।অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে খেতাব নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মন্ত্রী হওয়ার পর পরীক্ষা করার চেষ্টা করলাম, কেন এই ঘটনাটা ঘটল। বঙ্গবন্ধু দিয়ে গেলেন ওই সময়ে। তখন দেখলাম, পত্রিকায় একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, যাদের যাদের যুদ্ধক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আছে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, আপনারা আপনাদের বায়োডাটা, ইতিহাস আমাদের জমা দেন। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, আমরা এটা বুঝি নাই। বা অনেকে সে সময়ে যোগাযোগব্যবস্থার কারণে প্রচার তেমন ছিল না দেশ স্বাধীনের সময়। কিন্তু যারা যারা দরখাস্ত করছে, তারা পাইয়া গেছে। আমরা কিন্তু কেউ দরখাস্ত করি নাই।’



এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এমন যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, যাঁদের প্রাপ্যতা আছে, তাঁদের মূল্যায়ন করা উচিত। এটা অন্যায্য দাবি নয়।

অনেকে বাদ পড়েছেন মুক্তিযুদ্ধের খেতাব প্রাপ্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, ৭ মার্চের ভাষণ, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা—সবই বাঙালির গর্বের বিষয়। এসব গর্বের কাছে বাঙালির বারবার ফিরে আসতে হবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও প্রাসঙ্গিকভাবেই স্মরণ করতে হবে। তাই বাঙালির গর্বের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে।শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। এ জাতি ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাই আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সম্পৃক্ত করতে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ; বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব; বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ; অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম; ‘বিশ্বযুদ্ধ থেকে মুক্তিযুদ্ধ: অপরাজেয় মেয়র আফসার’ বইয়ের লেখক ইজাজ আহ্‌মেদ মিলন প্রমুখ।


নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম