সর্বশেষ ০৫ মে ২০২৫ মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রনালয় প্রকাশিত সংবাদ ( muktijuddha news bangladesh)sainiktvnews
গেজেট নম্বরসহ নিখোঁজ শহিদদের নামের তালিকাদ লীয় বিবেচনায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, ১৪শ শহিদ পরিবারের খোঁজ রাখেনি কেউ।
মহান স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। এরমধ্যে অসংখ্যবার কাটছাঁট হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা। দলীয় বিবেচনায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশেষ সুবিধা। অথচ রণাঙ্গনে সম্মুখযুদ্ধে শহিদ প্রায় ১৪শ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের খোঁজ রাখেনি কেউ। অন্তর্বর্তী সরকার এসব নিখোঁজ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার খুঁজে বের করার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের নিয়ে একটি পৃথক তালিকা তৈরি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তালিকায় ২ বীরশ্রেষ্ঠ, ৫ বীর বিক্রম ও ২ বীর প্রতীকের নাম আছে। সেই তালিকা যুগান্তরের হাতে পৌঁছেছে।
নিখোঁজ শহিদ পরিবারের সন্ধান করে প্রাপ্য সম্মান বুঝিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে মনে করছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি যুগান্তরকে বলেন, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা কোথায় আছেন কেউ জানেন না। এটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। কোনো সরকার এসে তাদের খোঁজ নেয়নি। যে যার মতো ক্ষমতায় এসেছে আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করেছে। আমরা এসব নিখোঁজ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার চিহ্নিত করে তাদের সম্মান ফিরিয়ে দিতে চাই। এরজন্য যা যা করণীয় আমরা করব।
গেজেট অনুযায়ী শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৬৭৫৭ জন। এর মধ্যে ভাতা গ্রহণ করছেন ৫৩৫৮ জনের পরিবার। বাকি ১৩৯৯ জনের পরিবারের হদিস নেই। তাদের খুঁজতে মাঠ প্রশাসনকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিভাগ, জেলা, উপজেলাভিত্তিক নিখোঁজ শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। দ্রুত এসব তালিকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনে পাঠানো হবে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি, শহিদের সহযোদ্ধা ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন প্রকৃত ওয়ারিশ নির্ধারণ করবেন।
শহিদ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে জানা যায়, বেসামরিক শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম গেজেট হয় ২০০৩ সালের ৬ অক্টোবর। সামরিক শহিদদের গেজেট হয়েছে ২০০৪ সালের ১২ এপ্রিল। পুলিশ ও বিডিআরের শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট হয় ২০০৫ সালের ১৫ জুন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটির অধীনে শহিদ, খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার সম্মানী ভাতা পেয়ে থাকেন। বর্তমানে শহিদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের মাসিক ৩০ হাজার টাকা হারে সম্মানী ভাতা, বছরে ২৩ হাজার টাকা হারে দুটি উৎসব ভাতা, দুই হাজার টাকা নববর্ষ ভাতা সুবিধা দেওয়া হয়। এছাড়া চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা, সামাজিক সুরক্ষা, শহিদ পরিবার বিবেচনায় বিরোচিত সম্মান ও শ্রদ্ধা পেয়ে থাকেন। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের সম্মানিত করা হয়।
নিখোঁজ শহিদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ও মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যুদ্ধকালীন সময়ে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকাংশ ছিলেন তরুণ-যুবক এবং অবিবাহিত। অনেকের বাবা-মা যুদ্ধের আগে-পরে মারা গেছেন। তালিকায় কারও নাম, গেজেট নম্বর, পিতার নাম থাকলেও নেই ঠিকানা। অনেকের গ্রাম, ডাকঘর নেই। আবার অনেক শহিদের পরিবার-পরিজন আছেন (বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তান ব্যতীত) কিন্তু ভাতা সুবিধা পাবেন না বিধায় সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ করছেন না। তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজন শহিদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার পূর্বে ভাতা পেলেও বর্তমানে ওয়ারিশ জটিলতায় বন্ধ আছে। তালিকায় সাত জনের নাম একাধিকবার এসেছে। কয়েকজনের পরিবার ভাতা পাচ্ছেন বলে যুগান্তরকে জানিয়েছেন। আবার কয়েকজনকে পাওয়া গেছে যাদের ঠিকানাযুক্ত এলাকার বাসিন্দারা শনাক্ত করতে পারছেন না। তালিকা ঘেঁটে মোট এক হাজার ৩৪৪ জনের একক নাম পাওয়া গেছে। এরমধ্যে দুজন বীরশ্রেষ্ঠ, পাঁচজন বীর বিক্রম ও দুজন বীর প্রতীকের নাম রয়েছে। নিখোঁজ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় থাকা বেশিরভাগই গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। যাদের পরিবারের কাছে শহিদ মুক্তিযোদ্ধার সনদ কিংবা গেজেট নেই।
তালিকা জেলা প্রশাসকদের পাঠিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী। তিনি যুগান্তরকে বলেন, দীর্ঘদিন শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের মধ্যে যারা ভাতা সুবিধা নেয়নি তাদের খুঁজে বের করতে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আশা করি দ্রুতই সমাধান করতে পারব। তবে মাঠ প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিখোঁজ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সন্ধানে মন্ত্রণালয় থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, ভাতা সুবিধা পাচ্ছেন না এমন শহিদদের তালিকা এখন পর্যন্ত পাইনি। মন্ত্রণালয় পাঠালে নির্দেশনা মোতাবেক কাজ হবে। একই কথা বলেছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম ও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ।সূত্র যুগান্তর।
বিএনপি করায় মুক্তিযোদ্ধার নাম কেটে দিতেন মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল।
বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম কেটে দেন তৎকালিন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তেমনি একজন গাজিপুরের পূবাইল এলাকার খিলগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুর রউফ সরকার (গেজেট-২৮৫৮)
এই বীরমুক্তিযোদ্ধার সাথে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন সরকারের জমি নিয়ে বিরোধের সূত্র তৈরী হয়। রাজনৈতিক সুবিধা নিতে আওয়ামীলীগের ঐ নেতা সালাউদ্দিন তৎকালীন মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এর পরামর্শে ঐ আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন সরকার ২০২১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুর রউফ সরকারের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন দাখিল করেন। সেখানে বলা হয় মো: আব্দুর রউফ সরকার বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং তিনি সরাসরি মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি।
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামুকায় একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় সভাপতিত্ব করেন তৎকালীন মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সেই সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুর রউফ সরকারের কোন বক্তব্য না শুনেই এক তরফা ভাবে তার গেজেট বাতিলের সুপারিশ করা হয়। ঐ সভায় বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুর রউফ সরকারসহ আরও অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতে রিট করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুর রউফ সরকার। সেই রিট গ্রহণ করে আদালত মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন, “রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পযন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুর রউফ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বহাল থাকবে এবং তার নিয়মিত ভাতা প্রদান করতে হবে”।
নথি পত্র ঘেটে দেখা যায় ১৯৭২ সালে হাবিবুল্লাহ বাহার স্বাক্ষরিত গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা সনদধারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুর রউফ সরকার ২০০৬ সালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষ্য, সনদ, দলিল দস্তাবেজ যাচাই-বাছাই শেষে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বকৃতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়। একই সাথে ২০১৩ সালে তৎকালিন গাজীপুর জেলা প্রশাসক এক চিঠিতে মো: আব্দুর রউফ সরকারকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বকৃতি দেওয়ার জন্য জামুকা ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে মো: আব্দুর রউফ সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেট ভুক্ত হন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়ে যাচ্ছেন।
তৎকালীন মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পলাতক থাকলেও তার দোসর সালাউদ্দিন সরকার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুর রউফ সরকারকে “ভুয়া” আক্ষায়িত করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাতে থাকেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুর রউফ সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ১৯৭১ সালে ৩নং সেক্টরে ১১১ নং গেরিলা ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করি। সালাউদ্দিন সরকারের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় তার বিরুদ্ধে আমি একাধিক মামলা দায়ের করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সালাউদ্দিন সরকার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করছেন। তিনি আরও বলেন সালাউদ্দিন সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র হত্যা মামলার আসামী মামলা নং-১৬/ তারিখ ০৮/১২/২০২৪ ।
এ বিষয়ে সালাউদ্দিন সরকারের বক্তব্য জানতে চালাইতে তিনি বলেন জমি সংক্রান্ত বিরোধের সাথে মুক্তিযোদ্ধ মন্ত্রণালয়ের আবেদন করার কোন সম্পর্ক নাই। তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন জামুকা তার গেজেট বাতিল করেছে তবে উচ্চ আদালতের বিষয়টি বলা হলে তিনি উত্তর এড়িয়ে যান।সূত্র ইনকিলাব
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সহকারী কমান্ডার (সাংগঠনিক) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তরিকুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল শনিবার শহরের শহীদ সাটু অডিটোরিয়ামে জেলা পুলিশ আয়োজিত 'চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে সুধী সমাবেশে' বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তরিকুল আলম বক্তব্য দেয়ার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক সাংসদ অধ্যাপক লতিফুর রহমান বক্তব্য প্রদানে বাধা এবং অসৌজন্যমূলক আচরন করেন।
শেষ পর্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তরিকুল আলম ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখতে পারেন নি। সমাবেশে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, ছাত্র-জনতা উপস্থিত থাকলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি এমন বিরুপ আচরন ও কটাক্ষের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং স্বরাষ্ট্র ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দিন। প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন স্থানের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদে সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল/২৫ তারিখ শনিবার বিকেল ৪ টার সময় শহরের শহীদ সাটু অডিটোরিয়ামে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ আয়োজিত সুধী সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তরিকুল আলম, সহকারী কমান্ডার (সাংগঠনিক), জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-কে বক্তব্য দেওয়ার সময় বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান।
এই ঘটনার প্রতিবাদে এই প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন। 'আমরা ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ও সকল মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পাশাপাশি জুলাই অভুত্থানে শহীদদের মাগফেরাত কামনা করছি'। সম্মেলনে আরও বলা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে সুধী সমাবেশের আয়োজন করে জেলা পুলিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান। এই সুধী সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্র-জনতা ও অন্যান্য দলের নেতা সহ সুধীবৃন্দ। তাছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাংগঠনিক কমান্ডের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলম।
বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম, টেলিভিশন, ফেসবুক হতে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সহকারী কমান্ডার (সাংগঠনিক) মোঃ তরিকুল আলম বক্তব্য দিতে গিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টকে না মেলানোর আহ্বান জানান। এসময় সামনের সারিতে বসা জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান উত্তেজিত হয়ে আঙুল উচিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলমের দিকে তেড়ে আসেন। চিৎকার করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে জোরপূর্বক বক্তব্য বন্ধ করতে বাধ্য করেন। তরিকুল আলম তার বক্তব্য শেষ করার জন্য অনুরোধ জানালেও শেষ পর্যন্ত কোন বক্তব্য রাখতে পারেন নাই এবং জেলা পুলিশ তখন নীরব ভূমিকা পালন করেন। বিষয়টি আমাদের জন্য লজ্জাজনক এবং হতাশাব্যঞ্জক। এই ঘটনার পরপরই ডিআইজি সাহেবকে বিষয়টি জানিয়ে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আপনাদের জানাতে চাই-মুক্তিযুদ্ধ ও অভুত্থান এক নয়। এই প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা পুলিশ আয়োজিত সুধী সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এরূপ বিরূপ আচরণ ও কটাক্ষের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে যেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এরূপ বিরূপ আচরণ ও কটাক্ষ করা না হয়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
এছাড়া, অমুক্তিযোদ্ধা খাইরুল ইসলাম কর্তৃক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রকাশ
ও ২৮/৪/২০২৫ তারিখ নয়াদিগন্ত পত্রিকায় এবং দিগন্ত টেলিভিশনে মিথ্যা ও অপ্রাসংগিক সাক্ষাতকার প্রকাশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়াও খাইরুল ইসলাম ২৮/০৪/২০২৫ ইং তারিখ নয়াদিগন্ত পত্রিকা ও দিগন্ত টেলিভিশনে ১৯জন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অত্যন্ত অশালীন, আপত্তিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট ভাষা ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশ ও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এই সংবাদ সম্মেলন থেকে তারও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।সূত্র যায় যায় দিন।
গাজীপুরে সাবেক স্বরাষ্ট্র ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কোনাবাড়ীতে হামলার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ ২২৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।
শনিবার (৩ মে) গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানায় মামলাটি করেন রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানার শিয়ালকোলা গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে নুর মোহাম্মদ। কোনাবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান (মতি), বাসন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারী, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গাজীপুর জেলা সভাপতি মো. হিরা সরকার, বাসন থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রকিব সরকার, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শান্ত বাবুসহ ২২৬ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। নাম না জানা আসামি করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।
কোনাবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “আদালতের আদেশে মামলা হয়েছে। পরে ২২৬ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা আরো ১০০-১৫০ জনের নামে মামলাটি রুজু হয়েছে।সূত্র রাইজিংবিডি