সর্বশেষ ০৫ মে ২০২৫ আলোচিত আজকের রাজনীতি সংবাদ (politics news bangladesh)sainiktvnews
৫ মে দেশে আসছেন না খালেদা জিয়া, জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
চার মাস পর আজ লন্ডন থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাধারণ একটি ফ্লাইটে তার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পাল্টে কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশে ফিরছেন একদিন পর মঙ্গলবার। এখন আলোচনা চলছে বিমানের ফ্লাইটে ফেরার সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত হওয়ার পরও কেন সিদ্ধান্ত পালটাতে হলো।
জানা গেছে, বিমানের ফ্লাইটের নিরাপত্তা নিয়ে শুরু থেকেই ছিল নানা শঙ্কা। যে কারণে প্রস্তুতি নিলেও বিকল্প নিয়ে ভাবছিলেন বিএনপি নেতারা। পাশাপাশি বিমানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি চলে। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা খোঁজ নিয়ে দেখতে পান- যে ফ্লাইটে খালেদা জিয়া ঢাকা ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেই ফ্লাইটের অন্তত ২ জন কেবিন ক্রু’র বিষয়ে সংশয় রয়েছে। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে তাদের সন্দেহের মধ্যে রাখা হয়।
বিষয়টি বিবেচনায় নিতে শুক্রবার রাতে কেবিন ক্রু আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম বিপনকে ফ্লাইটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটে খালেদা জিয়াসহ তার পরিবারের সদস্য ও বিএনপি’র কয়েকজন নেতার ঢাকায় আসার কথা ছিল। প্রস্তুতি হিসেবে গত শুক্রবার দুপুরে ওই ফ্লাইটে চিফ পার্সার নিশি, ফ্লাইট পার্সার আল কুবরুন নাহার কসমিক, ফ্লাইট পার্সার মো. কামরুল ইসলাম বিপন এবং জুনিয়র পার্সার রিফাজের নাম চূড়ান্ত করে বিমানের ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগের সংশ্লিষ্ট ইউনিট।
তবে গোয়েন্দা তথ্যে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তার সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা উঠে আসায় শুক্রবার মধ্যরাতে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে দুজনের নাম বাতিল করা হয়। ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ তাদের নাম অন্তর্ভুক্তিকরণ ও পরে ফ্লাইট থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
জানানো হয়, ফ্লাইটে কসমিক ও বিপনের পরিবর্তে শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট পার্সার ডিউক এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আনহারা মারজানকে পাঠানো হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যে উঠে আসে আল কুবরুন নাহার কসমিক নিয়মিত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ফ্লাইট পরিচালনা করতেন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে সরকারি সুবিধা ভোগের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। চাকরি জীবনে তিনি ১৮ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন। শাস্তি হিসেবে একাধিকবার গ্রাউন্ডেড হয়েছেন।
ওদিকে জুনিয়র পার্সার কামরুল ইসলাম বিপন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দলের নানা কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট পালনের জন্য নিয়মিত ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দিতেন। এবং শেখ কামালের জন্মদিনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করতেন। শেখ রাসেল দিবস পালনেরও অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন তিনি।
এসব তথ্য প্রকাশের পর বিমানের ফ্লাইটে আসার ঝুঁকি নিয়ে বিএনপির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের চিন্তা বেড়ে যায়। ভারত-পাকিস্তানের পালটাপালটি আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হয় সংশ্লিষ্টদের তরফে। বিমানের ফ্লাইটে এমন ঝুঁকি বা শঙ্কার বিষয়টি কাতারের কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপরই তারা বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সটি পাঠানোর দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন। কাতারের আমিরের এই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ায় বিএনপি পুরো পরিকল্পনা পরিবর্তন করে। সোমবারের পরিবর্তে মঙ্গলবার সকালে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয় দলের পক্ষ থেকে।
শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন বলে জানান।
এর আগে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, কাতারের আমীরের বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সে মঙ্গলবার দেশে পৌঁছাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার ফেরার সঙ্গী হচ্ছেন দুই পুত্রবধূ (বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কাতারের আমিরের একটি মেডিকেল টিমও থাকবে বলে জানিয়েছেন জাহিদ হোসেন।
বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি রওনা হবে। দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে স্থানীয় সময় ১টা ২৫ মিনিটে। যাত্রাবিরতি শেষে সেখান থেকে ২টা ৩০ মিনিটে রওনা হয়ে উড়োজাহাজটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায়।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে কাউকে চাপ দেওয়া হবে না: ইইউ
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা চাপিয়ে দেবে না ইইউ। বরং তারা একটি আন্তর্জাতিক মানের, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করতে চায়।।
সোমবার (০৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা একান্তই বাংলাদেশের জনগণ এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত বিষয়। আমরা কারও ওপর কোনো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের চাপ দিচ্ছি না।’
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নির্বাচনের সময় বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমরা মনে করি, সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন আয়োজন।’
সম্প্রতি আলোচিত জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও স্পষ্ট বক্তব্য দেন মিলার। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণহত্যায় যারা অভিযুক্ত, তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তবে সেই বিচারপ্রক্রিয়া হতে হবে পুরোপুরি স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন।’
মাইকেল মিলার বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামোগত সংস্কারকে সমর্থন করি। তবে বিচার ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে কোনো প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরি।’
বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা এখনও বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি যে, পরিস্থিতি উন্নতির পথে আছে।সূত্র যায় যায় দিন
ভারত পানিকে যুদ্ধের মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে: মির্জা আব্বাস।
রংপুরে তিস্তা চুক্তি ও মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গণ-পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিলো। রোববার (৪ মে) বিকেলে তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে এ গণপদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা ভারতের কাছে পানি ছাড়া অন্য কিছু চাই না। আমরা বকশিস চাই না, ভিক্ষা চাই না। আজকে না হলে কালকে আমাদের ন্যায্য হিসাব বুঝিয়ে দিতে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মির্জা আব্বাস বলেন, পানি কখনও মারণাস্ত্র হতে পারে না। পানি কখনও যুদ্ধের অস্ত্র হতে পারে না। একমাত্র ভারত বিশ্বকে দেখিয়ে দিলো, পানিকেও তারা যুদ্ধের মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
হাসিনা সরকারের কারণে তিস্তা চুক্তি হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, আমরা অনেক আগেই পানির ন্যায্য হিস্যা পেতাম, যদি হাসিনার মতো একটা সন্ত্রাস সরকার না আসতো। এই পানির জন্য তারা ভারতকে কিছু বলতে পারে নাই। মির্জা আব্বাস এসময় তিস্তা নদী নিয়ে আন্দোলনের আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং তিস্তা আন্দোলন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই আন্দোলনের সাথে থাকার অঙ্গীকার করেন।
এই গণ-পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুপুর ১ টার পর থেকেই তিস্তা নদী বেষ্টিত বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে লোকজন রংপুর নগরীতে আসতে শুরু করে। এ সময় “জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই” শ্লোগানে-শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর এলাকা।
গণ-পদযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা বিএনপির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, বিএনপি নেতা এমদাদুল হক ভরসাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং অবিলম্বে তিস্তা মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তাপারের মানুষজন ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দু’দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। আয়োজিত কর্মসূচিতে রংপুরের পাঁচ জেলার ১১ পয়েন্টে তাঁবু খাটিয়ে একই সময়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন বিএনপি‘র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।সূত্র ইত্তেফাক
হাসনাতের ওপর হামলায় ক্ষুব্ধ এনসিপি, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম।
গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর রবিবার সন্ধ্যায় হামলার ঘটনায় প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে দলটি। তারা অভিযোগ করেছে, ‘এই হামলা করেছে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররা।’
এনসিপি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলার আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী হাসনাত আব্দুল্লাহকে ‘দেখে নেওয়া’র হুমকি দিয়েছিল। তারা বলেন, ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিবাদী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এ হামলার সঙ্গে জড়িত।’
দলের দপ্তর বিভাগের যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘বাংলাফ্যাক্ট’ নামের একটি ফ্যাক্টচেকিং সংস্থার তথ্য অনুযায়ী গত ৯ মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের ওপর ৩৬টি হামলা হয়েছে। এসব হামলায় ৮৯ জন আহত হয়েছেন এবং ১ জন শহীদ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এসব ঘটনার পরও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আইনগত কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলা ও অপেশাদারিত্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির অভিযোগ, ‘জুলাই গণহত্যার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগের বিচার কার্যকরভাবে না হওয়াই আজকের হামলার পথ তৈরি করেছে।’
হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে। এনসিপি জানিয়েছে, ‘ঢাকা মহানগর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, বরিশাল, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, রংপুরসহ একাধিক স্থানে কর্মসূচি পালিত হয়েছে।’
সংগঠনটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে জুলাই মাসের ‘গণহত্যার’ সঙ্গে জড়িতদেরও দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।সূত্র যুগান্তর
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের শুনানি চলতি সপ্তাহে ।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি চলতি সপ্তাহে পুনরায় শুরু হবে। মঙ্গলবার বা বুধবার নিবন্ধন মামলাটি আদালতের কার্যতালিকায় আসতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
রোববার (০৪ মে) সকালে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ আপিল বিভাগে দ্রুত শুনানি চেয়ে জামায়াতের পক্ষে আবেদন করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।
আবেদনে বলা হয়, জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হলেও হঠাৎ স্থগিত হয়ে যায়। এ মামলার সঙ্গে দলটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সরাসরি জড়িত হওয়ায় দ্রুত শুনানির প্রয়োজন।
২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল আবেদনটি খারিজের আদেশ দেন। এর ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে। সূত্র ইত্তেফাক