আ.লীগের ‘ধ্বংসাত্মক’ কর্মকাণ্ড প্রতিহতে উত্তাল উত্তরা—বিএনপির তিন সংগঠনের অবস্থান কর্মসূচি!

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আওয়ামী লীগের তথাকথিত ‘ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের’ প্রতিবাদে বিএনপির তিনটি অঙ্গসংগঠন আজ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেয়। তারা দাবি করে, আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড, দলীয় হামলা ও গণগ্রেফতারের বিরুদ্ধে এই অবস্থান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতীক। শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান চললেও এলাকাজুড়ে ছিল পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা। বিএনপি নেতারা বলেছেন, এই আন্দোলন চলবে জনগণের ভোটাধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত। 

 

আ.লীগের ‘ধ্বংসাত্মক’ কর্মকাণ্ড প্রতিহতে উত্তাল উত্তরা—বিএনপির তিন সংগঠনের অবস্থান কর্মসূচি!


 

 বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজধানীর উত্তরায়। আওয়ামী লীগের তথাকথিত ‘ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের’ প্রতিবাদে বিএনপির তিনটি অঙ্গসংগঠন—ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দল—একযোগে আজ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা দাবি করেন, আওয়ামী লীগ দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যা জনগণ মেনে নেবে না।


🔹 অবস্থান কর্মসূচির পটভূমি

সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, গ্রেফতার এবং রাজনৈতিক অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় উত্তরা জোনের তিনটি সংগঠন আজকের এই অবস্থান কর্মসূচি আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে এই কর্মসূচি, যেখানে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।


🔸 বক্তৃতায় উঠে আসা অভিযোগ

অবস্থান কর্মসূচিতে নেতারা বলেন—

“আওয়ামী লীগ সরকার ভয় দেখিয়ে বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ করতে চায়, কিন্তু বিএনপি রাজপথ ছাড়বে না।”

ছাত্রদল নেতা জানান, শিক্ষাঙ্গনে দমননীতির কারণে ছাত্ররা এখন রাজপথে নামতে বাধ্য হচ্ছে। যুবদল নেতারা বলেন, কর্মসংস্থানহীন তরুণদের হতাশাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে সরকার বিভ্রান্ত করছে। স্বেচ্ছাসেবক দল অভিযোগ করে, সরকারের প্রশাসনিক শক্তি এখন গণতন্ত্রবিরোধী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।


🔶 পুলিশের নিরাপত্তা ও পরিস্থিতি

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে উত্তরা মডেল থানার একাধিক টিম মোতায়েন ছিল। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ, র‍্যাব ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যদিও কোনো সহিংসতা ঘটেনি, তবে পরিস্থিতি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। পুলিশ জানায়, কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ থাকলে বাধা দেওয়া হবে না।


🔸 স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

স্থানীয়রা জানান, অবস্থান কর্মসূচির কারণে সাময়িক যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। তবে তারা আশা প্রকাশ করেন, রাজনৈতিক দলগুলো যেন শান্তিপূর্ণ উপায়ে মতপ্রকাশের সুযোগ পায়। এক বাসিন্দা বলেন—

“রাজনীতি গণতন্ত্রের অংশ, তবে আমরা চাই সহিংসতা ছাড়া আন্দোলন হোক।”


🔹 বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মসূচি

বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর সূত্রে জানা গেছে, এই অবস্থান কর্মসূচির পর পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে। দলটির শীর্ষ নেতারা বলেছেন, গণগ্রেফতার, গুম ও রাজনৈতিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার হয়।


🔶 বিশ্লেষণ ও রাজনৈতিক তাৎপর্য

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, উত্তরা অঞ্চলে এই কর্মসূচি একটি “পরীক্ষামূলক আন্দোলন” হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনের গতি পরিমাপ করতে চায়।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা একে রাজনৈতিক নাটক বলে দাবি করেছেন। তারা বলেন, বিএনপি মাঠে টিকে থাকতে না পেরে কৃত্রিম ইস্যু তৈরি করছে। তবে নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের অবস্থান কর্মসূচি দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে উন্মুক্ত রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম