আমতলীর ১৯ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ঈদ আনন্দ বঞ্চিত।।sainiktvnews

 

 আমতলীর ১৯ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ঈদ আনন্দ বঞ্চিত

আনন্দ থেকে বঞ্চিত আমতলী উপজেলার ১৯ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। সম্মানী ও উৎসব ভাতা না পাওয়ায় এবার তাদের ঈদ আনন্দ অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। দ্রুত ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধারা।মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত আমতলী উপজেলার ১৬৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। ওই মুক্তিযোদ্ধারা নিয়মিত সম্মানী ও উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন। গত ফ্রেব্রুয়ারি মাসে মোঃ সামসুদ্দিন আহম্মেদ, ডা. আঃ মন্নান হাওলাদার, আবুল বাশার সিদ্দিক ও মোঃ শাহ আলমের সম্মানীভাতা বন্ধ হয়ে যায়। আবার গত মার্চ মাসে মোঃ আনোয়ার হোসেন, মালেক আকন ও বুলবুল নাহারের সম্মানী ভাতা বন্ধ করে দেয় মন্ত্রনালয়। ৭ জনের সম্মানী ভাতাসহ ১৯ জনের ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় বন্ধ করে দিয়েছে। এতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোর ঈদ আনন্দ অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ও উৎসব ভাতা পেতে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ গত মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে তালিকা পাঠিয়েছেন।

আমতলীর ১৯ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ঈদের আনন্দ বঞ্চিত

আমতলীর ১৯ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ঈদের আনন্দ বঞ্চিত


বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম সিদ্দিক বলেন, ১৯ জন মুক্তিযোদ্ধা ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতা আসেনি। এতে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ঈদ আনন্দ অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। দ্রুত সম্মানী ও উৎসব ভাতা দেয়ার দাবি জানান তিনি।মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার তালুকদারের মেয়ে বুলবুল নাহার বলেন, গত মার্চ মাসে আমার বাবার সম্মানী ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। কেন বন্ধ হয়েছে তা আমার জানা নেই? দ্রুত সমস্যা সমাধান করে সম্মানী ভাতা দেয়ার দাবি জানান তিনি।

আমতলী সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ব্যাবস্থাপক মোঃ কাওসার মোল্লা বলেন, তালিকা অনুসারে ভাতা দেয়া হয়েছে। তবে ১৯ জন মুক্তিযোদ্ধার উৎসব ভাতা আসেনি।আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, ৭ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানীসহ ১৯ জনের উৎসব ভাতা আসেনি। তাদের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।


সূত্র ঃ জনকণ্ঠ ২৯ এপ্রিল ২০২২।

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম