তিনি জানান, ফেনীর ফুলগাজীতে তার পরিবার ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলন, ১১ দফা থেকে শুরু করে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সক্রিয় ছিল। এজন্য তার বাবা এছহাক ভূঞাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে পঙ্গু করে ফেলে।
নূর উন নবী ভূঞা বলেন, ১৯৭৩ সালের ২১ মে মওলানা ভাসানীর ডাকা অনশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সর্বদলীয় হরতাল মিছিল থেকে তাকে গুলি করে আহত করা হয় এবং অপহরণ করে নিয়ে যায় ওই সময়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার মরদেহ আর ফেরত দেওয়া হয়নি। বিচারও পাইনি।তিনি বলেন, নূর হোসেনকে গুম করার পর সরকার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নামে বরাদ্দকৃত বাসা থেকেও উচ্ছেদ করে। এখন এই সরকার তাদের পরিবারের দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকাভুক্তকরণ থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে ফেনী জেলা প্রশাসককে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। অবিলম্বে তাদের গেজেটভুক্ত করা হোক।
বাবা যুদ্ধাহত মরহুম এছহাক ভূঞা ও ভাই শহীদ নূর হোসেনকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এছহাক ভূঞার আরেক ছেলে নূর উন নবী ভূঞা। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটেতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
স্বাধীনতা পরবর্তী সরকার কর্তৃক তিনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ সকল সুবিধাপ্রাপ্ত ছিলেন। তার ভাই শহীদ নূর হোসেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।সংবাদ সম্মেলনে তিনি নূর হোসেনের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রমাণস্বরুপ নূর হোসেনের অস্ত্র জমা দেওয়ার সার্টিফিকেট, মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্রসহ আরও বেশ কিছু ডকুমেন্টস তুলে ধরেন।