সর্বশেষ ১০ মে ২০২৫ আলোচিত আজকের রাজনীতি সংবাদ (politics news bangladesh)sainiktvnews

সর্বশেষ ১০ মে ২০২৫ আলোচিত আজকের রাজনীতি  সংবাদ (politics news bangladesh)sainiktvnews

সর্বশেষ ১০ মে ২০২৫ আলোচিত আজকের রাজনীতি  সংবাদ (politics news bangladesh)sainiktvnews


যুদ্ধে মোড় নিচ্ছে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত? 

কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতের ঘটনার মধ্য দিয়ে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা নতুন করে শুরু হয়। ভারত এই হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানকে দায়ী করে। এরপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ নেয়। এরমধ্যে সিন্দু পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতও রয়েছে। পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়। যার মধ্যে সিমলা চুক্তি স্থগিতসহ, ভারতের জন্য আকাশসীমা নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তান সিন্দু পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতকে যুদ্ধের শামিল হিসেবে ঘোষণা করে। 

এরপর থেকে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে টানা প্রায় ১২ রাত ধরে গোলাগুলি হয়। এই গোলাগুলির জন্য উভয় দেশই একে অপরকে দোষারোপ করে। তবে গত মঙ্গলবার ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তানি কাশ্মীরসহ অন্তত নয়টি জায়গায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তারা এই অভিযানের নাম দেয় 'অপারেশন সিন্দুর'। 



পাকিস্তানের দাবি, ভারত ছয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এবং এতে তাদের ৩৮ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। সেইসঙ্গে আহত হয়েছে শতাধিক। এ ছাড়া পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। 


ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানেরভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের

তবে ভারত দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এবং হামলায় অন্তত ১০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।



এ ছাড়া পাকিস্তান বাহিনীর গোলাবর্ষণে কাশ্মীরে ১৫ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে বলে জানায় ভারত। 


এই হামলার পর থেকে দুই বৈরি দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি বার্তা দেওয়া হয়।


শেষমেশ শনিবার দশ মে) পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা ভারতের 'অপারেশন সিন্দুর' এর বদলা হিসেবে 'অপারেশন বানিয়ান মারসুস' শুরু করেছে। পাকিস্তানের দাবি, তারা ভারতের পাঠানকোট, উধমপুরসহ বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। 


শ্রীনগর থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, ভোর পৌনে ছয়টার দিকে সেখানে কয়েকটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। শহরজুড়ে এখন পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট চলছে। 


পাকিস্তানের ৩ বিমানঘাঁটিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, পাল্টা হামলা ইসলামাবাদেরপাকিস্তানের ৩ বিমানঘাঁটিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, পাল্টা হামলা ইসলামাবাদের

এর আগে ভারত আর পাকিস্তান দুটি দেশই দাবি করে যে শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের ওপরে অপর দেশ থেকে হামলা হয়েছে। উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।   


পাকিস্তানের করাচির ফায়সাল হাইওয়েতে একাধিক বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানাচ্ছেন বিবিসির সংবাদদাতারা।


গুলিস্তাঁ-এ-জওহার এলাকার এক বাসিন্দা জুবেইর আশরাফ বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভোরবেলা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তিনি। আকাশে আলোর ঝলকানিও দেখতে পেয়েছেন আশরাফ। 


বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই দেশ ফের হয়তো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে। 

সূত্র ইত্তেফাক


দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন না দিলে জাতি সংকটে পড়বে।

দ্রুত নির্বাচন দিয়ে ড. ইউনুসকে সরে যাওয়া উচিত। তা না হলে জাতি রাজনৈতিক সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল) এর সাধারণ সম্পাদক ডা. সৈয়দ নূরুল ইসলাম।

শুক্রবার বিকালে ঢাকার নবাবগঞ্জের খানেপুর বাজারে দলীয় কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে নুরুল ইসলাম বলেন, দেশের মানুষ আজ বড় কঠিন সময় পার করছে। মানুষের চাওয়া ও মনের ভাষা না বুঝলে সে সরকার জনগণের কল্যাণ করতে পারে না। তাই জুলাই গণঅভ্যুত্থান ফ্যাসিবাদের পতনের মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হয়েছে সেটা অবশ্যই অরাজনৈতিক। সময়ের প্রয়োজনে সেদিন সব দলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এ সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেছে। তারা আজ রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো মতামত না নিয়েই দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে করিডর অনুমোদন দেওয়ার পায়তারা করছে।

কর্মী সমাবেশে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে সেভ এক্সিট দিয়ে চুনোপুঁটিদের ওপর শাস্তি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এটাও এক ধরনের বৈষম্য। এ বিষয়ে আরও গভীরে হাঁটতে হবে। খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করতে দেশের ভেতরে বাহিরে নানা নাটক মঞ্চায়িত করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে সব দলকে ঐকমত্য হয়ে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচন বিলম্বিত করতে একটি অপশক্তি পায়তারা করছে। ড. ইউনুস আপনি সম্মানিত মানুষ। সেই সম্মান রক্ষা করেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা দিয়ে বিদায় নিন। 

সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে হামলা ভয়াবহ যুদ্ধের ইঙ্গিত বহন করছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে সে প্রভাব এড়াতে আগে থেকেই বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে সাবধান থাকতে হবে। 

আগামী দিনে দলের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থেকে সব সংকট মোকাবেলায় কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।   

নয়নশ্রী ইউনিয়ন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক মো. বাদল হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য সুরাইফুল ইসলাম মাহফুজ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব রহমান, নূর উদ্দিন ঢালী, ডা. সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা, শেখ মাইনুদ্দিন, কামরুল হাসান, নকুল চন্দ্র মণ্ডল প্রমুখ।সূত্র ইকিলাব 

দেশে অস্থিরতার জন্য যাকে দুষলেন কর্নেল অলি।

প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে কেন্দ্র করেই এখনও দেশে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ছে—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল ড. অলি আহমেদ।

শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চুপ্পুর ব্যাপারে দ্রুত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন, “চুপ্পু এখনও ক্ষমতায় আছেন বলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মনোবল দিন দিন বাড়ছে এবং তারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে।

ড. অলি বলেন, প্রেসিডেন্টর পদে একজন “স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ, বেঈমান ও মুনাফিক”কে রাখা শতাব্দীর সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ভুল। তার ভাষ্য অনুযায়ী, সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এস. আলম গ্রুপের কর্মচারী হিসেবে তাদের স্বার্থে কাজ করছেন এবং তাকে প্রেসিডেন্টর পদে বসানো হয়েছে ওই গ্রুপের পক্ষ থেকেই। তিনি আরও বলেন, “তিনি মূলত আওয়ামী লীগের কর্মী বা নেতা—তাকে কোনো অবস্থায় এই পদে রাখা উচিত নয়।

শেখ হাসিনা চলে গেলো কিন্তু চুপ্পু সাহেবকে রেখে গেলো, এটা কেন হয়েছিলো? এ প্রশ্নের জবাবে অলি আহমেদ বলেন, ‘এটা আমি মনে করি, বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে চুপ্পুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে অতি দ্রুত। চুপ্পুর কারণেই দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতারা অশান্তি সৃষ্টি করছে। চুরি-ডাকাতি, রাহাজানির সাথে তারা জড়িত। আইন-শৃঙ্খলা লঙ্ঘনকারী বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত। সুতরাং চুপ্পুকে কখনোই আস্থায় নেওয়াটা ঠিক হবে না। এবং যারাই আস্থায় নিয়েছে তারাই ভুল করেছে।সূত্র যুগান্তর 

ষড়যন্ত্র ও ট্যাগিং দিয়ে আমাদের থামাতে পারবেন না: হাসনাত ।

ষড়যন্ত্র ও ট্যাগিং দিয়ে আমাদের থামাতে পারবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শনিবার (১০ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।    

পোস্টে তিনি বলেন, আপনি আমাদের যে কোনো বাইনারিতে ফেলে ভাগ করতে পারেন। এসব ভাগ করে, ষড়যন্ত্র করে ও ট্যাগিং দিয়ে আমাদের থামাতে পারবেন না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।



এর আগে পোস্টে তিনি বলেন, ঢাকার শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারাদেশের হাইওয়েগুলোতে ব্লকেড দিবেন না। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন। কিন্তু ব্লকেড না। ব্লকেড খুলে দিন।


প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান নেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত। বিকাল সাড়ে ৪টায় তিনি সেই সমাবেশ স্থগিত করে শাহবাগ অবরোধের ডাক দেন। এরপর হাজারো মানুষ মিছিলসহ শাহবাগে এসে জড়ো হন এবং বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে মূল সড়কে বসে পড়েন। স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।সূত্র ইত্তেফাক

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে: সরকারের বিবৃতি।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আজ শুক্রবার বেলা ৩টার কিছু আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।


বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।



‘এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে। সে পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছে। উল্লেখ্য যে ইতিমধ্যে সরকার জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। চলমান তদন্তে সহযোগিতা করার পরিবর্তে, দলটি দেশের স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করার জন্য স্পষ্টতই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’, বলা হয় বিবৃতিতে।  


সরকারের পক্ষ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।


এতে আরও বলা হয়, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশগমন সম্পর্কে জনমনে ক্ষোভের বিষয়ে সরকার অবগত। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।’সূত্র প্রথম আলো 

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম