ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি’- কথাটি যেমন চিরন্তন সত্য’ তেমনই সত্য ছিন্নমূল, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে কোন কোন ক্ষেত্রে আসে না ঈদের আনন্দ। তাদের ঘরে খাবার থাকে না, নতুন জামা কাপড় কেনার সামর্থ্য থাকে না। পবিত্র ঈদ তাদের সামনে দিয়ে চলে যায় মলিন ও নিরানন্দভাবে।
অনেক পরিবার আছে রাজধানীতে যাদের ঈদের প্রস্তুতি বা আনন্দ বলে কিছু নেই। অনেক এতিমখানা রয়েছে যেখানে আশ্রিতদের নেই কোন পিতৃ-মাতৃ পরিচয়। ঈদে তাদের নতুন জামা জামা-কাপড় মিলবে কিনা সেই সম্ভাবনাও তাদের সামনে নেই।
পিতামাতার সংস্পর্শবিহীন এইসব শিশু আর অসহায় মানুষের কথা ভুলে যাননি মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান, স্বদেশ প্রপাটিজের এমডি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিন। ১৯৭১ সালে মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। আজও তিনি পরম মমতায় গিয়ে দাঁড়ান এতিম ও দরিদ্রদের পাশে। প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছের অসহায় মানুষের জন্য।
![]() |
এতিমদের পাশে বীর মুক্তিযোদ্ধা
বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিন এবার ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-১৭ আসনের বিভিন্ন এলাকায় দরিদ্রদের সহায়তা করেছেন। তিনি বিতরণ করেছেন নগদ অর্থ ও নতুন কাপড়। প্রায় দুই হাজার একশ পরিবার এবং ২৬টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় শিশুরা তার কাছ থেকে এবার ঈদ উপহার পেয়েছে। এই উপহার পেয়ে এতিম শিশু ও দরিদ্রদের মুখে হাসি ফুটেছে।
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার ভাসানটেক থানাধীন ৯৫ নং ওয়ার্ডের ৬টি মাদরাসা ও এতিমখানা, ক্যান্টনমেন্ট ইউনিয়ন এলাকার ৩টি মাদরাসা ও এতিমখানা, ১৯নং ওয়ার্ডের ১০টি মাদরাসায় নগদ অর্থ ও কাপড় বিতরণ করেন তিনি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জামিয়া মুহাম্মাদিয়া ইসলামিয়া (কড়াইল বিটিসিএল), কড়াইল কবরস্থান ফজলুল করিম র. হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা, আজিজিয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা, দারুল উলুম কড়াইল মাদরাসা ও এতিমখানা, নূরানী এতিমখানা হাফিজিয়া মাদরাসা, বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি খানকাশরীফ হামিদিয়া নূরানী মাদরাসা, কড়াইল বউ বাজার আদর্শ নগর মাদরাসা ও এতিমখানা, নূরানিয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা। মোট ২৬টি মাদরাসায় ২৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দান করেছেন তিনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিন বলেন, মুসলিম জাহান সিয়াম সাধনা এবং ত্যাগের মধ্য দিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করে অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলার অঙ্গীকারে প্রত্যয়ী হওয়ার এক সফল অনুষ্ঠান এই পবিত্র ঈদ। এ উৎসব আমাদেরকে একতাবদ্ধ ও মহৎ হতে শেখায়। ঈদের আনন্দ দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে ভাগ করার মাঝেই সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে অনেক পরিবারে ঈদের আনন্দ আসে না। তাই আমার ঈদের আনন্দ আমি তাদের সাথে ভাগ করে নিতে চেয়েছি মাত্র। আমি সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
সুত্রঃরাইজিংবিডি