মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় দখল কাপড়ের দোকান খোলার অভিযোগ

 গাজীপুরের শ্রীপুরে ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয় দখল করে কাপড়ের দোকান খোলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নূরুল আলমের বিরুদ্ধে। পাঁচ বছর ধরে ব্যবহৃত এই কার্যালয়টি হঠাৎ করে দখল দখল হয়ে যাওয়ার ফলে এখন মুক্তিযুদ্ধাদের নির্দিষ্ট কোনো বসার জায়গা নেই। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় দখল কাপড়ের দোকান খোলার অভিযোগ

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. নূরুল আলম গাজীপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য।

জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ের সামনে টিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নতুন একটি বারান্দা। ওই বারান্দায় বসানো হয়েছে একটি কাপড়ের দোকান। ফলে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়টি পুরোপুরি বন্ধ করে দখলে নিয়েছেন ইউপি সদস্য।


স্থানীয়রা জানান, সাত বছর আগে মাপজোখ করে মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডা কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়ে। ওই সময় জমির বিষয়ে কারো কোনো আপত্তি ছিলো না। কিন্তু তিনদিন আগে ইউপি সদস্য জোর করে মুক্তিযুদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ের সামনে নতুন ঘর নির্মাণ করে দখলে নিয়েছেন।


গাজীপুর ইউনিয়ন মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলা উদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধাদের একমাত্র ঠিকানা ইউনিয়ন মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডা কার্যালয় দখল করে নিয়েছে ইউপি সদস্য। আমরা এতে বাঁধা দিতে গেলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন তিনি। এর প্রতিকার পেতে গাজীপুর জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। প্রতিকার না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে সারাদেশের মুক্তিযুদ্ধাদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে যোদ্ধাদের কার্যালয় দখলমুক্ত করা হবে।


অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. নূরুল আলম বলেন, 'যে স্থানে মুক্তিযুদ্ধা কার্যালয় গড়ে উঠেছে সেই জমির মালিক আমার বাবা। আমি আমার জমিতে নতুন ঘর নির্মাণ করছি।'


শ্রীপুর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মো. সিরাজুল হক বলেন, এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধাদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।


গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল হক মাদবর বলেন, 'উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন। আমি একটু অসুস্থ আছি। সুস্থ হয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো। কোনো ইউপি সদস্য মুক্তিযুদ্ধাদের অফিস দখল করবেন এটি মেনে নেওয়া হবে না।'


শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, 'লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকেও জানানো হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।'


গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিস) আনিসুর রহমান বলেন, 'লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ইউএনওকে নিদর্শনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই বিষয়টি সঠিক সমাধান হবে।

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম