মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
![]() |
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ |
সাঁথিয়ায় এলজিইডির মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ চার মাসের চুক্তির মেয়াদ ২৪ মাস আগে শেষ হয়ে গেলেও পাবনার সাঁথিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। শুধু তাই নয়, ব্লক স্পেসিফিকেশন বহির্ভূত নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় জাদুঘরের দু'টি বাউন্ডারি ওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এদিকে চুক্তি অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় এবং মেয়াদকাল প্রায় দুই বছর অতিক্রান্ত হওয়ায় প্রকল্প পরিচালক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে চুক্তি বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছেন ।
জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি ইউনিয়নের রূপসী-বাউশগাড়ি গণকবরের ওপর ৩৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা মনুমেন্ট নির্মাণের টেন্ডার আহ্বান করে। পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাহিদ হাসান ট্রেডার্স কাজটির কার্যাদেশ পায়। ২০২০ সালের ১৮ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা মনুমেন্টের কাজ শুরু করা হয়। একই বছরের ১৮ জুলাই নির্মাণকাজ শেষের মেয়াদ থাকলেও প্রায় দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও তা শেষ হয়নি। বর্তমানে নির্মাণাধীন জাদুঘরের দু'টি বাউন্ডারি ওয়ালে ফাটল ধরেছে। যা লোহার রড দিয়ে আড়াআড়িভাবে গেঁথে ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন >>বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবারও প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক জানান, গত বছর ডিসেম্বর মাসে মনুমেন্টের নির্মাণকাজের ত্রুটি সংশোধন করে সঠিক ব্লক ও স্পেসিফিকেশন ও মানসম্পন্ন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমে কাজ শেষ করতে ঠিকাদারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে চলতি জানুয়ারি মাসে আবারো তিনি ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান। এদিকে চুক্তি মোতাবেক কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় এবং চুক্তির মেয়াদকাল প্রায় দুই বছর অতিক্রান্ত হওয়ায় প্রকল্প পরিচালক আব্দুুল হাকিম গত ৬ মার্চ নির্বাহী পরিচালক এলজিইডি পাবনাকে চুক্তি বাতিলের জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন >>বীর নিবাসের বরাদ্দ প্রত্যাহারের দাবি
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মোহাম্মদ বিদ্যুৎ জানান, এ কাজের টেন্ডারকালে ইলেকট্র্রিক, সেনেটারি, বাউন্ডারি ওয়াল, গ্রিলসহ গাইড ওয়াল কিছুই ধরা ছিল না। কিন্তু প্রকৌশল অফিসের নির্দেশে এই কাজগুলো করতে হয়েছে। রিভাইজ বিল জমা দেয়া আছে। সেটা অনুুমোদিত হলে নির্মাণকাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
ধুলাউড়ি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল উদ্দিন জানান, রূপসী-বাউশগাড়ি ও ডেমরা ইউনিয়নের ডেমরা গ্রামে ১৯৭১ সালের ১৪ মে পাকসেনারা একদিনে ৮৫০ গ্রামবাসীকে হত্যা করে। এরকম একটি স্পর্শকাতর জায়গায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর তৈরির ছয় মাসের কাজ প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ না হওয়াটা দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান।