মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে গোয়ালঘর। রাজবাড়ীর গোলন্দা শহরের রেলগেটের পাশে গরুর হাট এলাকায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি অবস্থিত। ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ভবনটি উদ্বোধন করেন; কিন্তু ভবনটি উদ্বোধনের পর থেকেই তালাবদ্ধ রয়েছে। এদিকে ভবনের সামনে প্রতি সপ্তাহে গরুর হাট বসে। এতে ভবনের (মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স) আশেপাশে গোবরসহ বিভিন্ন আবর্জনার স্তূপ জমে পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে এলাকার পরিবেশ দূষিত করছে।
ফেরদৌস আলম খান জানান, গোলন্দপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ফকির মহিউদ্দিন আনসার ক্লাব প্রাঙ্গণে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গরুর হাট ছিল। পরবর্তীতে শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় ২০১২ সালে সেখান থেকে গরুর হাট বর্তমান স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। পাঁচ বছর পর গরুর হাটের একপাশে তৈরি হয়েছে গোলন্দ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন। এদিকে গোলন্দ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুস সামাদ মোল্লা বলেন, গোলন্দ উপজেলা এলাকার অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন।যারা এখনো বেঁচে আছেন, আমরা আমাদের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে নিয়মিত বসতে চাই। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শিগগিরই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নিয়মিত কার্যক্রম শুরু হবে।’ গোয়ালন্দ পৌর কর্তৃপক্ষকে বাজার স্থানান্তরের জন্য বলা হয়েছে।গোয়ালন্দ পৌরসভার সচিব রুহুল আমিন জানান। কালের কণ্ঠ, "জায়গা স্বল্পতার কারণে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে থেকে গরুর হাট সরানো যাচ্ছে না। তবে জরুরী ভিত্তিতে ঝুপড়ি স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় স্থান চাওয়া হচ্ছে।