নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ায় চেতনানাশক দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম ও তার মেয়েকে অচেতন করে ঘরের সর্বস্ব লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।
শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) গভীর রাতে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ চরঈশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সকালে আশপাশের লোকজন সঙ্গাহীন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম ও তার মেয়ে সুমাইয়াকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি আমির হোসেন জানান, রাতে ঘরে থাকা বাবা-মেয়েকে দুর্বৃত্তরা অচেতন করে নগদ ৬৫ হাজার টাকা, আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলার পর আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাই ব্যবসায়ী মো. আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বাবা-মেয়ে ছাড়া ঘরে পরিবারের কেউ ছিল না। রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাদের চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে আলমারি ভেঙে টাকা ও মেয়ের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। পরে সকালে দরজা খোলা দেখে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মানছুর উদ্দিন বলেন, সঙ্গাহীন বীর মুক্তিযোদ্ধার মুখের লালায় ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া গেছে। শ্বাসকষ্ট থাকায় অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।