ফুলবাড়িয়া সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক জহিরুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
তাঁর বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে গত ২৫ মে অভিযোগপত্রটি পাঠান ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধারা।৩৯ বীর মুক্তিযোদ্ধার ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত সম্মানী ভাতা ও উৎসব ভাতার অর্থ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনের চিঠি আসে সোনালী ব্যাংকের ফুলবাড়িয়া শাখায়।
তবে ১৪ জন ছাড়া বাকি ২৫ বীর মুক্তিযোদ্ধার বরাদ্দের টাকা দেননি শাখা ব্যবস্থাপক জহিরুল হক।বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর আহম্মদ চৌধুরীর দাবি, যে ১৪ বীর মুক্তিযোদ্ধা চাহিদামতো ঘুষ দিয়েছেন কেবল তাঁদের বকেয়া সম্মানী ভাতা এবং উৎসব ভাতা দিয়েছেন শাখা ব্যবস্থাপক জহিরুল হক। যাঁরা ঘুষ দিতে পারেননি তাঁদের বকেয়া টাকা দেননি।বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিনের ভাষ্য, উপজেলার ৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধার অনুকূলে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের সম্মানী ভাতা ও উৎসব ভাতার পে-রোল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাননি ‘ঘুষখোর’ ওই কর্মকর্তা। এতে মুক্তিযোদ্ধারা ভাতার টাকা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।
সাত-আট লাখ টাকা করে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার সময় প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা জহিরুল হক। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সোনালী ব্যাংকের ফুলবাড়িয়া শাখায় ঋণ নিতে গেলে চাহিদামতো টাকা দিতে রাজি না হলে নানা অজুহাতে তাড়িয়ে দেন তিনি। তাঁর চাহিদামতো ঘুষ দিলে ঋণ দিতে কোনো অজুহাত থাকে না বলে জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক।তবে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা জহিরুল হক। তাঁর দাবি, ভাতার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের কাগজ পেয়েছেন। ১৪ জনের টাকা এসেছে, বাকি ২৫ জনের টাকা আসেনি। এ কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার টাকা দেওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন
ফুলবাড়িয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ইউএনও নাহিদুল করিম জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা হয়েছে তাঁর। বিষয়টি লিখিতভাবে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।