সরাইল মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ফটকের সামনে বাজার, তিনদিকে ময়লার ভাগাড়।তিনতলা বিশিষ্ট সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সেটি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে অযত্নে অবহেলায়। প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনটির কাজ শেষ হয়েছে সাড়ে ৩ বছর আগে। উদ্বোধন না হওয়ায় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে এটি। সুযোগে ভবনটির তিনদিক পরিণত হয়েছে মলমূত্র ত্যাগের নিরাপদ জায়গা। আর প্রধান ফটকের সামনে নিয়মিত পসরা সাজিয়ে বসছে ভাসমান ব্যবসায়ীরা। পেছনে পড়ে যাচ্ছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি।
নিত্যদিন এসব চিত্র দেখে দুঃখ আর আফসোস করলেও এ বিষয়ে কিছুই করতে পারছেন না স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। সরজমিন দেখা যায়, ভবনটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় হবে মার্কেট। আর তৃতীয়তলায় মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস ও কনফারেন্স কক্ষ হওয়ার কথা। রাজনৈতিক ঘেরাকলে আটকে আছে উদ্বোধন। কম্পিউটারসহ কয়েক লাখ টাকার মূল্যবান ফার্নিসার্সও অন্যত্র পড়ে আছে অযত্নে।২৪ ঘণ্টা প্রধান ফটক থাকে তালাবদ্ধ। ফলে ভবনের প্রত্যেকটি কক্ষে মাকড়শার জাল, ধুলোবালিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ফ্লোরে মাটির স্তর পড়ছে। সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণির লোকজন। কাছে গেলে দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরতে হয়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমত আলী আক্ষেপ করে বলেন, কি আর বলবো। অনেক চেষ্টা করেছি। উদ্বোধন হয়নি। সেখানে আমরা যেতেও পারছি না। মূল্যবান জিনিষপত্র অন্যত্র থেকে নষ্ট হচ্ছে। চোখের সামনে ভবনটির চারিদিকে ইচ্ছেমতো মানুষের মলত্যাগ ও ময়লা আবর্জনা ফেলার চিত্র দেখছি। ফটকের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালকে পেছনে ফেলে ৪-৫ জন কাপড়ের ব্যবসা করছে। কেউ কিছু বলছেন না।আমি বেশ কয়েকটি সভায় কথাগুলো বলেছি। কোনো কাজ হয়নি। সরাইলের মুক্তিযোদ্ধারা মারা যাওয়ার পরই হয়তো ভবনটির ব্যবহার শুরু হবে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, প্রধান ফটকের সামনে মার্কেট বসাবে আর তিনদিকে মলমূত্র ত্যাগ করবে এটা হতে পারে না। এ বিষয়ে অবশ্যই আমাদের করণীয় আছে। বিষয়টি এইমাত্র আপনার কাছ থেকে জানলাম। দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।