বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (SEZS) বিনিয়োগের জন্য সুইস উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার ব্যাপকভিত্তিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায়।
আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুইস রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রাইড রেংলি তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা (SEZS-এ) জমি দেব। তারা (সুইস উদ্যোক্তারা) বাংলাদেশে একটি মিনি সুইজারল্যান্ড তৈরি করতে পারে।'
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
করিম প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, 'আমরা বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটি ব্যাপক অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত করার অপেক্ষায় রয়েছি।'
করিম বলেন, সুইস কোম্পানিগুলোও বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদারে কাজ করবেন।
তিনি গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের গ্রামীণ মানুষের উন্নয়নই তার সরকারের মূল লক্ষ্য।
উন্নয়নের মেরুদণ্ড- মধ্যবিত্ত মানুষ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, চরম দারিদ্র্যের হার শূন্য, অন্তত এক শতাংশে নামিয়ে আনতে আমরা অনেক কর্মসূচি নিচ্ছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ডে পরিণত করেছিলেন বলে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করে বলেন, লন্ডনে অস্ত্রোপচারের পর সুইস সরকারের আমন্ত্রণে বঙ্গবন্ধু যখন সুইজারল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন তখন তিনি তার সঙ্গে ছিলেন।
কানেক্টিভিটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বিমানবন্দরের উন্নয়ন করছে যাতে বাংলাদেশ পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে দূরত্ব দূর করতে পারে।
ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রদূতকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
সুইস রাষ্ট্রদূত শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি হস্তান্তর করেন, যা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে সুইস স্বীকৃতির জবাবে সুইস সরকারকে পাঠিয়েছিলেন।
চিঠি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি (চিঠি) জাদুঘরে রাখা হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং ঢাকায় সুইস মিশনের উপপ্রধান করিন হেনচোজ পিগনানি উপস্থিত ছিলেন।