Letets-news-today-মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি: ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা মন্ত্রণালয়ে জমা, গরমিল পেল পিএসসি-sainiktv

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি: ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা মন্ত্রণালয়ে জমা, গরমিল পেল পিএসসি।
Letets-news-today-মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি: ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা মন্ত্রণালয়ে জমা, গরমিল পেল পিএসসি-sainiktv
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতোমধ্যে ৬২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৭টি প্রতিষ্ঠান তাদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। বাকি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের তালিকাও দু-একদিনের মধ্যে জমা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পূর্ণাঙ্গ তালিকার ভিত্তিতে একটি ডেটাবেজ তৈরি করে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। এ ডেটাবেজে ভুয়া সনদ বা অনিয়মের মাধ্যমে চাকরিপ্রাপ্তদের শনাক্ত করা হলে তাদের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতিসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জমাকৃত তালিকায় প্রজাতন্ত্রের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পিএসসি আংশিকভাবে বিসিএস প্রশাসন ও নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণির তালিকা পাঠিয়েছে, তবে সেখানে কিছু গরমিল পাওয়া গেছে। পিএসসির তালিকাটি পুনরায় সঠিকভাবে জমা দিতে বলা হবে। বাকিরাও তালিকা পাঠাতে একটু সময় নিচ্ছে যাতে কোনো তথ্য বাদ না যায়।


১৫ আগস্ট, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম জানান, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির কাজ চলছে। যেসব প্রতিষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি দিয়েছে, সেখানে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে এই তালিকা চাওয়া হয়েছে।


গত এক মাসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা দ্রুত পাঠাতে বলা হয়েছে। চিঠিতে প্রার্থীদের নাম, নিয়োগপ্রাপ্ত পদ, পিতার নাম ও ঠিকানা, মুক্তিযোদ্ধার সনদ নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করে তালিকা পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণির চাকরির তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। ৪৭টি প্রতিষ্ঠান তাদের তালিকা জমা দিয়েছে, পিএসসি আংশিক তালিকা পাঠিয়েছে, তবে সেখানে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। ১৫টি মন্ত্রণালয় এখনও তাদের তালিকা জমা দেয়নি, তবে আশা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই তারা তা করবে। তালিকা প্রণয়ন শেষে, অনিয়ম বা জাল সনদে চাকরি প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫৬ শতাংশ ছিল, যার মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য বরাদ্দ। এছাড়া ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ পিছিয়ে থাকা জেলা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা নির্ধারিত ছিল।

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম