সর্বশেষ ০২মে ২০২৫ মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রনালয় প্রকাশিত সংবাদ ( muktijuddha news bangladesh)sainiktvnews

সর্বশেষ ০২ মে ২০২৫ মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রনালয় প্রকাশিত সংবাদ ( muktijuddha news bangladesh)sainiktvnews

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ তদন্তের জন্য ডাটা এন্ট্রি চলছে’


ভালুকায় পরিত্যক্ত এলাকায় বাণিজ্যিক চত্বর, ভাড়া যাবে মুক্তিযোদ্ধাদের তহবিলে।

ভালুকা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি বহুদিনের পরিত্যক্ত ও নোংরা স্থানকে রূপান্তর করা হয়েছে একটি আধুনিক বাণিজ্যিক এলাকায়।


উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, এই স্থানটি কেউ চিনতে পারছেন কি না জানি না। আমি বলি, এটি হচ্ছে আমাদের ভূমি অফিস সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের যাওয়ার পথের বাম পাশের একটি পরিত্যক্ত স্থান যেখানে সারা বাজারের মানুষ ময়লা ফেলতো এবং নানা ভাবে স্থানটি নোংরা হয়ে থাকতো।


উক্ত স্থানে বর্তমানে নির্মাণ করা হয়েছে নয়টি চমৎকার দোকান শেড। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, এই ঘরগুলোর নির্মাণ খরচের একটি অংশ এসেছে ঘরের অ্যাডভান্স ভাড়া থেকেই। আমরা আশা করছি এখান থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২৭ থেকে ২৮ হাজার টাকা ভাড়া পাওয়া যাবে, যা মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি তহবিলে জমা হবে এবং তাদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সবকটি দোকানের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগটি স্থানীয় জনগণের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে এবং এটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এলাকা তথা ভালুকার সামগ্রিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।


মাহমুদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, খুব শীঘ্রই স্থানটি কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।


এই ধরনের জনকল্যাণমুখী উদ্যোগ উপজেলায় প্রশাসনের উন্নয়ন চিন্তা ও সদিচ্ছার বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।তথ্য সূত্র বিবার্তা

কুলাউড়ায় মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা তানিম গ্রেপ্তার।

গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে হামলার ঘটনায় কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তানিমকে গ্রেপ্তার করেছে কুলাউড়া থানা পুলিশ। 


বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত সাড়ে ১০টায় কুলাউড়া থানার এসআই সুজন তালুকদার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রবিরবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।


 তানিম পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ভাটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা এবং রবিরবাজারের ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম সিকনের ছেলে। 


গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপছার। তিনি বলেন, তানিমের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে মৌলভীবাজার জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।তথ্য সূত্র স্বদেশ প্রতিদিন 


ভ্যান গাড়িতে বই বিক্রি করছেন ৮৯ বছর বয়সের বীর মুক্তিযোদ্ধা।

আজ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস। প্রতিবছর মে দিবস আসে, মে দিবস যায়। দেওয়ালজুড়ে কিছু পোস্টার সাঁটানো হয়, শহরে শহরে মিছিল হয়, বক্তৃতা হয়। কিন্তু আশপাশের ক্লান্ত শ্রমজীবী মানুষের জীবন তেমন বদলায় না। তারা অনেকেই হয়তো জানেনই না, আজকের দিনটিকে ‘শ্রমিকের অধিকার দিবস’ বলা হয়। কারণ অধিকার নিয়ে তারা ভাবেন না। তারা শুধু ভাবেন আগামীকালকের দিনটি যেন আরও একটু ভালো যায়। আর এভাবেই তাদের অনেকের জীবনের গল্প রয়ে যায় অন্ধকারে। 


এমনই এক শ্রমজীবী মানুষ মুক্তিযোদ্ধা এনছান আলী খান ১৯৩৬ সালে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বিহারি পুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল গনি খান ছিলেন একজন কৃষক। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে রণাঙ্গনের একজন বীর সৈনিক ছিলেন তিনি। তার জীবন যুদ্ধ যেন ছোটবেলা থেকেই শুরু আজ ৮৯ বছর বয়সে জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও ভ্যান গাড়িতে বই নিয়ে ছুটছেন দেশ গড়ার লক্ষ্যে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা এনছান আলী খান। তার জীবন যুদ্ধ যেন এখনো শেষ হয়নি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা কখনও তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেননি। এমনই একজন নিঃস্বার্থ মুক্তিযোদ্ধা এনছান আলী খান। 


আজ বৃহস্পতিবার ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের দিন দুপুরে বাকেরগঞ্জ পৌর শহরের সড়কে সড়কে ভ্যান গাড়ি নিয়ে বই বিক্রি করতে দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধা এনছান আলী খানকে। জীবনের শেষ মুহূর্তে নানান রকম রোগে আক্রান্ত হয়ে শরীরের শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। ভ্যান গাড়ি যেন এখন চলছে না। দুই পায়ে দেখা দিয়েছে ব্যথা। পাড়া মহল্লায় ভ্যান গাড়ি নিয়ে বই বিক্রি করতে গিয়ে জীবনের সাথে যুদ্ধ চলছে এখনো তার। 


১৯৭১ সালে রণাঙ্গনে মুক্তিকামী সৈনিক ২ নম্বর সেক্টরে ক্যাপ্টেন হায়দার আলীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা এনছান আলী খান ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। তখন পুলিশ কর্মরত অবস্থায় সোনারগাঁও, কাচপুর, মুগ্ধাপাড়া, আদমজী জুট মিল সংলগ্ন এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দেশরক্ষায় জীবনকে তুচ্ছ করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন এই বীর সন্তান। দেশ স্বাধীনের পর থেকে কখনো রিক্সা কখনো ভ্যান গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছেন তিনি। বর্তমানে বই বিক্রেতার পেশাকে পাথেয় করে একটি ঝুপড়ি ঘরে তার মানবেতর জীবনযাপন চলছে। জীবনের এই ক্রান্তিলগ্নে ৮৯ বছর বয়সেও স্বপ্ন দেখে আগামী দিনগুলোর।


গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে ভ্যান গাড়িতে বই বিক্রি করে মানুষের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ইসলামি শিক্ষার দিনের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন এই মুক্তিযোদ্ধা। ২০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা আর ভ্যান গাড়িতে বই বিক্রয় করেই তার সংসার চলছে। মুক্তিযোদ্ধা এনছান আলীর দাবি সরকার তাকে একটি দোকান ঘর দিলে ভ্যান গাড়িতে নয় দোকানে বসে বই বিক্রি করতেন। আর মানুষের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ইসলামি শিক্ষার দিনের আলো ছড়িয়ে দিতেন তিনি। 

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ তদন্তের জন্য ডাটা এন্ট্রি চলছে।

৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ তদন্তের জন্য ডাটা এন্ট্রি কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীরপ্রতীক)।


মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণিবিন্যাস এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক চেতনায় মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় করানো হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও সেদিনের অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুরাও মুক্তিযদ্ধের তালিকায় রাজনৈতিক বিবেচনায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি- নাতনি না হয়েও ভুয়া কাগজ তৈরি করে চাকরি ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন সেক্টরে কোটা সুবিধা নিয়েছে। এসব এখন তদন্তের অধীনে আসছে। 


তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমাদের একটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরি হয়নি। রাজনৈতিক সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় বিভিন্ন তদবির ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছে। তারা ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। দেখা যাচ্ছে, আবেদনে যেই মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে অংশগ্রহণের ‘তথ্য প্রমাণ ও ডিক্লারেশন’ দিয়েছেন, ‘আমি অমুক সেক্টরে অমুক জায়গায় যুদ্ধ করেছি’ খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে সেই সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বা অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা তাকে চিনেন-ই না। কখনো দেখেননি। এরকম শত শত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে। এ পর্যন্ত ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এরমধ্যে ৪০ হজার ডাটা এন্ট্রি হয়ে গেছে। ৫০ হাজার ডাটা এন্ট্রির কাজ চলমান রয়েছে।


ফারুক-ই-আজম জানান, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এখন সেগুলো যাছাই-বাছাই করছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের স্বেচ্ছায় নাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হবে। ইতোমধ্যে কয়েকজন নাম প্রত্যহারের আবেদন করেছেন। যারা নাম প্রত্যাহার করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। অভিযোগ পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জমা দেয়ার চিঠি দেয়া হবে। তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হবে। তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। শুনানি করে যাদের কাগজপত্র ঠিক আছে, তারা গেজেটভুক্ত থাকবে। আর যারা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবে না তাদের গেজেট বাতিল করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠনের পর দ্রুত বিষয়টি নিস্পত্তির উদ্দ্যেগ নেয়া হবে। আশা করছি সময় কিছুটা ক্ষেপন হলেও প্রকৃত রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রস্তুতে সফলতা আসবে।


তিনি বলেন, সরকার রণাঙ্গনের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগি মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করার কাজ করছে। যেসব কৃষক-শ্রমিক, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ,নৌ কমান্ডো, আনসার, ইপিআর যুদ্ধ করেছে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের মর্যাদা কখনো সীমান্ত পাড়ি দেয়া, কিংবা বিদেশে বসে আরাম আয়েশে জনমত সৃষ্টির প্রচারণা চালানো, ফুটবল খেলোয়াড়, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গান গাওয়া মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা এক হতে পারে না। তাই মন্ত্রণালয় মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণ ছাড়া অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের ‘সহযোগি মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে। এ ব্যাপারে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা প্রজ্ঞাপন জারি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।


তিনি আরও বলেন, যারা রণাঙ্গনে ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ করেছেন তারা রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। অপরদিকে যারা বিদেশে জনমত তৈরির প্রচার চালিয়েছেন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের খেলোয়াড়, স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী, সাংবাদিক, ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসা সহকারীসহ যারা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রয়েছেন, তাদের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

সূত্র : বাসস।





নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম