সর্বশেষ ০১ মে ২০২৫ আলোচিত আজকের রাজনিতিক সংবাদ (politics news bangladesh)sainiktvnews
বিএনপি নাকি জামায়াত কোন দিকে ঝুঁকছে ইসলামপন্থি দলগুলো?
বাংলাদেশে ইসলামপন্থি দলগুলোর মধ্যে মতের ভিন্নতা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকলেও এখন নির্বাচন লক্ষ্য করে ‘এক বাক্সে ভোট আনার’ স্লোগান তোলা হয়েছে। কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক পাঁচটি দল নির্বাচনি জোট করার তৎপরতা চালাচ্ছে। তবে বড় ইসলামি দল জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অন্য দলগুলোর মধ্যে। অন্যতম প্রধান দল বিএনপিও ইসলামি দলগুলোকে কাছে টানার চেষ্টায় রয়েছে।শেষ পর্যন্ত ইসলামপন্থিদের রাজনীতির মেরুকরণ কোথায় গিয়ে ঠেকবে, এই প্রশ্নে এসব দলের মধ্যেই চলছে নানা আলোচনা।জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের পর জামায়াত এবং অন্যান্য ইসলামী দল ও সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে; অনেক ক্ষেত্রেই তা চোখে পড়ার মতো।
এমনকি বিভিন্ন সময় এসব দল ও সংগঠনের শক্তি দেখানোর চেষ্টা ছিল। নির্বাচনের সময় ও সংস্কার প্রশ্নে বিএনপির বিপরীতে জামায়াতসহ বিভিন্ন ইসলামপন্থি দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েও আলোচনা রয়েছে।ইসলামী দলগুলোর নেতারা বলছেন, দেশে পট পরিবর্তনের পর রাজনীতিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ একটা অবস্থান তৈরির সুযোগ এসেছে বলে তারা মনে করছেন। এই সুযোগ কাজে লাগাতে চান তারা। সেজন্য তারা ইসলামপন্থিদের ঐক্য বা একটি জোট গঠনের তাগিদ অনুভব করছেন।
নির্বাচনি জোট করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিটি আসনে তাদের একক প্রার্থী দেওয়ার কথা বলছে ইসলামপন্থি দলগুলো। তা কতটা সম্ভব হবে, এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
যদিও নেতারা বলছেন, তারা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছেন।
ইউনূস সাহেব, তাড়াতাড়ি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন: মির্জা ফখরুল
তাড়াতাড়ি সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে অনুরোধ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর মুন্সিরহাট এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে তিনি এ অনুরোধ জানান।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস সাহেব, দয়া করে তাড়াতাড়ি সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। অনেক ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলো আরও ক্ষতি করবে দেশের জন্য। দেরি না করে তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
এসময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আপনাদের সঙ্গেই থাকবো। নির্বাচনে হারি-জিতি আপনাদের সঙ্গেই থাকবো। আমারা হিন্দু-মুসলিম মিলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো। সবাই একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলবো।’
‘নির্বাচনী জোটে যাবে কিনা সে বিষয়ে আলোচনায় আগ্রহী না এনসিপি’
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির জন্য কাজ করবে এনসিপি। কিন্তু কারো সঙ্গে নির্বাচনী জোটে যাবে কিনা সে বিষয়ে আলোচনাতে আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নাহিদ ইসলাম এমন মন্তব্য করেন।নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা যেহেতু জুলাই অভ্যুত্থান থেকে উঠে এসেছি তাই আমরা মনে করি আমাদের এজেন্ডা মৌলিক সংস্কার ও ন্যায়বিচার। আমরা সেই এজেন্ডার ভিত্তিতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছি। এই এজেন্ডার ভিত্তিতে মাঠের ঐক্য বা রাজনৈতিক ঐক্য হতে পারে। তবে নির্বাচনের জন্য আমরা এখনও কোনো ঐক্যের বা জোটের বিষয়ে আলোচনাতে আগ্রহী না।
তিনি বলেন, সংবিধানের মৌলিক বিধান পরিবর্তন করতে হলে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই পরিবর্তন করতে হবে। তাহলে সেটা টেকসই হবে।
লোকে লোকারণ্য নয়াপল্টন, চলছে শ্রমিকদলের সমাবেশ
মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে শ্রমিক দলের সমাবেশ শুরু হয়েছে.সকাল থেকে সমাবেশে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকে। নির্ধারিত সময়ের আগেই লোকে লোকারণ্য নয়াপল্টন এলাকা। নেতাকর্মীর উপস্থিতি নয়াপল্টন, কাকরাইল, ফকিরাপুল ও শান্তিনগর এলাকা ছাড়িয়ে যায়। ফলে এসব একালায় কিছু সড়কে পুরোপুরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর কিছু সড়কে যান চলাচল সীমিত হয় পড়ে। যার ফলে ছুটির দিন হওয়ার পর এসব এলাকায় বাসিন্দাদের কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়।
দুপুর ১২টায় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে সমাবেশস্থল।সমাবেশ শুরুর আগেই মাথায় গামছা বেঁধে হাজির রিকশা চালক নজরুল ইসলামও। এমন ৭৫টি মে দিবস পেরিয়ে আসা নজরুল ইসলামের প্রত্যাশা, সত্যিকারের অধিকার পাবেন শ্রমিকরা।
পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শ্রমিক সমাবেশে হাজির হন নারীরাও। নারীবান্ধব কর্ম পরিবেশ দাবি তাদের। বিএনপি ক্ষমতায় এলে শ্রম অধিকার নিশ্চিত করবে, বলে প্রত্যাশা শ্রমিকদের।
শ্রমিক দলের নেতারা বলছেন, বৃহত্তর শ্রমিক সমাবেশে গার্মেন্টস-কলকারখানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যাত্রা শুরু হবে।
করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত জনগণ ও নির্বাচিত সরকারের কাছে থেকে আসতে হবে
মিয়ানমার সীমান্তে করিডোর ইস্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জনগণকে জানানো হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করা হয়নি। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কি না, সেই বিতর্ক তুলতে চাই না। তবে করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত জনগণ ও নির্বাচিত সরকারের কাছে থেকে আসতে হবে।তিনি বলেন, গত দেড় দশকে পরাধীনতার শেকলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। সেই ফ্যাসিবাদের পতন হলেও জনগণের রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক অধিকার পরিপূর্ণ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ জন্য মানুষ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি পৌঁছে দিতে পারছে না।তারেক রহমান বলেন, বিশেষ পরিস্থিতির সরকার অবৈধ না, কিন্তু জনগণের নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নয়। কেউ যখন একক ব্যক্তিকে অপরিহার্য মনে করে তখনই স্বেচ্ছাচারিতা তৈরি হয়। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মনে যাতে ক্ষমতা ধরে রাখার ইচ্ছা না আসে, সে জন্যই নির্বাচন প্রয়োজন। সংস্কারে আপত্তি নেই, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রকাশ করুন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিদেশি স্বার্থ রক্ষা নয়, সবার আগে জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই বাংলাদেশকে কেউ তাবেদারি রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না। সবার আগে বাংলাদেশ এটিই হতে হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।