জাতিসংঘে ঐক্যের বার্তা, কী বললেন ফখরুল?"
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের কোনো জায়গা নেই— এমনটাই জানালেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সামনে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, সব রাজনৈতিক দল নিশ্চিত— ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যকেও তিনি দেখছেন রাজনৈতিক ঐক্যের প্রতিচ্ছবি হিসেবে।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বহু জল্পনা-কল্পনার মাঝেই এবার আশ্বাসের সুর শোনা গেল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কণ্ঠে। শুক্রবার বিকেলে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন— ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো সংশয় নেই।
সাংবাদিকরা যখন জানতে চান জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণ যথেষ্ট জোরালো ছিল কি না, তখন ফখরুলের জবাব ছিল আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা শুধু দায়িত্ব গ্রহণের পটভূমিই নয়, বরং নানা চ্যালেঞ্জ এবং সেগুলো মোকাবিলার কৌশল বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছেন। আর প্রথমবারের মতো বিরোধী দলগুলোকে সরকারি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করে জাতিসংঘে উপস্থাপন করায়, সেটিকে তিনি একটি ঐক্যের বার্তা হিসেবেই দেখছেন।
ফখরুল আরও জানান, বিএনপির নেতা তারেক রহমানও এ উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন। এর ফলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের অংশীদারিত্ব অনুভব করছে। আর এটি বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য নিঃসন্দেহে এক অনন্য উদাহরণ।
তবে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, নিম্নকক্ষের জন্য বিএনপি পিআরের পক্ষে নয়। উপরকক্ষের জন্যও কোনো প্রস্তাব তারা দেয়নি। তবে ভবিষ্যতে আলোচনা করে এ ধরনের বিষয়ে সমাধান বের করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আলোচনার পুরো সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। সব মিলিয়ে নিউইয়র্কে ফখরুলের এই বক্তব্য নির্বাচনী রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।