চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বিএনপির কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড যে মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে তা কেবলই সম্ভাব্য এবং প্রাথমিক তালিকা। তাই এ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির প্রয়োজন নেই। তিনি বিশ্বাস করেন, মতলবের তৃণমূল নেতাকর্মীরা সবসময় তার পাশে ছিলেন এবং শেষ পর্যন্তও থাকবেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অসৎ মহল মতলবের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে—ব্যানার ছেঁড়া, অফিসে তালা ঝোলানোসহ নানা অপতৎপরতার মাধ্যমে। এই আচরণকে গণতন্ত্রবিরোধী আখ্যা দিয়ে তানভীর হুদা নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তার বক্তব্য—তিনি ধানের শীষের সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই এখন তার একমাত্র লক্ষ্য।
চাঁদপুর জেলার রাজনৈতিক অঙ্গন দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে মতলব উপজেলায় দলীয় সমর্থন ও মাঠ পর্যায়ের কর্মতৎপরতা বরাবরই নজর কাড়ে। এই অঞ্চলের তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে আসা রাজনীতিবিদদের মধ্যে তানভীর হুদা অন্যতম। সম্প্রতি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন তালিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, যা বর্তমানে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
📌 “সম্ভাব্য তালিকা মানে চূড়ান্ত নয়”
বিএনপি হাইকমান্ড সারাদেশে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রকাশ করে। তালিকা প্রকাশের পর অনেক এলাকায় আনন্দের বন্যা বইলেও কোথাও কোথাও বিভ্রান্তি ও উত্তাপ সৃষ্টি হয়। মতলবও তার ব্যতিক্রম নয়।
এই পরিস্থিতিতে তানভীর হুদা স্পষ্ট করে বলেন—
“চূড়ান্ত তালিকা এখনো ঘোষণা হয়নি। তাই হতাশা বা বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।”
📌 বিলবোর্ড ছেঁড়া ও অফিসে তালা—উত্তেজনার ইঙ্গিত
তিনি অভিযোগ তোলেন যে কিছু ষড়যন্ত্রকারী প্রার্থী ও তাদের অনুসারীরা
-
তার বিলবোর্ড ছিঁড়ে ফেলছে
-
বিএনপি পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়েছে
-
এলাকা অস্থির করার চেষ্টা করছে
তানভীর হুদা এটিকে সরাসরি “গণতন্ত্রের পরিপন্থী আচরণ” বলে আখ্যা দেন।
📌 তৃণমূলই শক্তি, তৃণমূলই ভরসা
তার মতে, বিএনপির প্রকৃত শক্তি মাঠের কর্মী, আর সেই শক্তি তার পাশে আছে বলেই তিনি আশাবাদী। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন—
“মতলবের মানুষ জানে, আমি সবসময় তাদের পাশে ছিলাম। সঙ্কটেও তারা আমাকে ছেড়ে যায়নি।”
📌 তারেক রহমানের কর্মী—ধানের শীষের সৈনিক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ বাস্তবায়নে সবসময় সক্রিয় থাকা তানভীর হুদা জানান,
-
তিনি আগেও দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলেছেন
-
এখনো তা অব্যাহত থাকবে
-
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই হবে তার প্রধান লক্ষ্য
📌 ঐক্যের আহ্বান — "আমরা একই লক্ষ্য নিয়ে চলি"
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন—
“একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে নয়—অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবেন। ঐক্য ছাড়া বিজয় অসম্ভব।”
✔ রাজনৈতিক বিশ্লেষণ
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে—
-
মতলবে বিএনপি শক্তিশালী একটি ভোটব্যাংক ধরে রেখেছে
-
প্রার্থী নিয়ে বিভক্তি হলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে
-
তানভীর হুদার অভিজ্ঞতা ও গ্রহণযোগ্যতা তাকে শক্তিশালী দাবিদার করে তুলেছে
এক কথায় বলা যায়—
২০২৫ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে মতলব বিএনপির রাজনীতিতে যে উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে, তানভীর হুদার নেতৃত্ব ও অবস্থান সেই উত্তাপকে ইতিবাচক শক্তিতে পরিণত করতে সক্ষম হতে পারে।
