বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণে আল আজহারে এনসিপি নেতা সারজিসের সফর

 জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণে মিশরের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। ৬ নভেম্বর তিনি সৌদি আরব হয়ে মিশরে রওনা হন। তার সফরের উদ্দেশ্য শুধু সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়—প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময়, রাজনৈতিক আলোচনা এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি তুলে ধরা। প্রথম তিন দিন তিনি সৌদি আরবে অবস্থান করবেন এবং পরবর্তী তিন দিন আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করবেন। সারজিস আলমের এই সফরকে এনসিপির প্রবাসী সংগঠন শক্তিশালী করার কৌশল হিসেবেও দেখা হচ্ছে। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে সফরের বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন এবং দেশের প্রতি প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। এই সফরকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে।  

 

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণে আল আজহারে এনসিপি নেতা সারজিসের সফর

 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিশেষ করে তরুণ ও প্রবাসী সম্প্রদায়ের মাঝে দলটির অবস্থান দিন দিন আরও দৃঢ় হয়ে উঠছে। সেই ধারাবাহিকতায় এনসিপি তাদের আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধি এবং প্রবাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এক সপ্তাহব্যাপী সফরের উদ্দেশ্যে মিশরের পথে রওনা হয়েছেন।

✈️ সফরের উদ্দেশ্য — প্রবাসীদের সঙ্গে সেতুবন্ধন

সারজিস আলম জানিয়েছেন—
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ এবং সরকার পরিবর্তনের পর গঠিত নতুন বাংলাদেশের অগ্রগতির রূপরেখা তুলে ধরাই তার সফরের মূল লক্ষ্য।

তিনি প্রথম তিন দিন সৌদি আরব এবং পরবর্তী তিন দিন মিশরে অবস্থান করে—

  • প্রবাসী এনসিপি নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক

  • রাজনৈতিক মতবিনিময়

  • সংগঠন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা

  • শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা শোনা

  • দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবর্তন তুলে ধরা

এসব কার্যক্রমে অংশ নেবেন বলে জানান।

📌 আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়—ইসলামী বিশ্বে প্রভাবশালী শিক্ষা কেন্দ্র

আল আজহার বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে বহু বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
এই শিক্ষার্থীরা—

  • ধর্মীয় শিক্ষা

  • সমাজ নেতৃত্ব

  • আন্তর্জাতিক কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পরিচয়

বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

📌 ফেসবুক পোস্টে সফরের ঘোষণা

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে সারজিস আলম লিখেছেন—

“প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণে এবং তাদের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় আমি মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ চালিয়ে যেতে তাদের প্রস্তাবনা ও অভিজ্ঞতা শুনবো।”

এ পোস্টের পর এনসিপির নেতা-কর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা যায়।

🌍 আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে—

  • সৌদি ও মিশর দুই দেশেই বৃহত্তর বাংলাদেশি জনশক্তি রয়েছে

  • তাদের আনুগত্য অর্জন মানে দলের শক্তি বহুগুণ বৃদ্ধি

  • বৈধ রাজনৈতিক প্লাটফর্মে প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা জাতীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে

এনসিপি চাইছে—
✅ আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশি প্রবাসীদের নেতৃত্বকে এগিয়ে নেওয়া
✅ সরকারের পরিবর্তন পরবর্তী নীতি নির্ধারণে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা

🤝 প্রবাসীদের কাছে প্রত্যাশা পরিষ্কার

সারজিস আলম বিশ্বাস করেন—
প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি
তাদের মতামত ভবিষ্যতের নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তার বক্তব্য—

“দেশের যত উন্নয়ন, তার বড় অংশই প্রবাসীদের ঘামের ফসল।”

🔎 সফরের তাৎপর্য—দলের অগ্রযাত্রায় নতুন অধ্যায়

এনসিপি বর্তমানে

  • প্রবাসী শাখা শক্তিশালী করা

  • সাংগঠনিক উন্নয়ন

  • নির্বাচনী প্রস্তুতি

এসব মিশন নিয়ে এগোচ্ছে।
সারজিস আলমের সফর সেই লক্ষ্যকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।



নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম