সাভারে ভোরবেলা আতঙ্ক! যাত্রীবাহী বাসে আগুন, গুলিবর্ষণ চালু

 সাভারের আশুলিয়া এলাকায় ভোর পৌনে ৫টার দিকে একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে চলে যায়। একই সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। আলিফ পরিবহণের বাসটি সড়কের পাশে পার্কিং করা ছিল। বাসের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা চালক সাত্তার আগুন টের পেয়ে জানালা দিয়ে লাফিয়ে বের হন এবং আহত হন। ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, তবে বাসের ৮০% পুড়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে আসে ও হেলমেট পরা অবস্থায় পালিয়ে যায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। 

 

সাভারে ভোরবেলা আতঙ্ক! যাত্রীবাহী বাসে আগুন, গুলিবর্ষণ চালু

 

সাভারের আশুলিয়া এলাকায় বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৫টার দিকে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। আলিফ পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে চলে যায়। ফাঁকা গুলি ছোড়ে হামলাকারীরা। বাসটি তখন সড়কের পাশে পার্কিং করা অবস্থায় ছিল। বাসের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা চালক সাত্তার আগুন টের পেয়ে জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে বের হন। তিনি আহত হন এবং স্থানীয়রা উদ্ধারকারীদের সহায়তায় তার প্রথম চিকিৎসা করেন।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী জানান, তাদের দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে বাসের ৮০% পুড়ে গেছে।


🔹 হামলার ধরন ও ধরন

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, ভোরে দুটি মোটরসাইকেলে করে দুজন দুর্বৃত্ত আসে। তারা হেলমেট পরা অবস্থায় বাসে আগুন দেয় এবং কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। বাসচালক সাত্তার জানান, যখন তিনি বাস থেকে নেমে চিৎকার করতে শুরু করেন, হামলাকারীরা এলাকা ত্যাগ করে।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, আগুন ও গুলিবর্ষণ পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যমূলক। এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি হামলাকারীরা কোন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত।


🔸 নিরাপত্তা ঝুঁকি ও প্রতিক্রিয়া

এই ঘটনায় আশুলিয়ার সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়েছেন। স্থানীয়রা দাবি করছেন, সড়কপথে বসবাসরত বাস এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তৎপরতা জরুরি।

ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, অবিলম্বে স্থানীয় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং হেলমেট পরা সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।


🔹 আহত চালকের বিবরণ

চালক সাত্তার বলেন, “আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ আগুন দেখে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নেমে যাই। বাস থেকে নেমে দেখি চারজন লোক দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তারা হেলমেট পরা। আমি চিৎকার শুরু করি। তখন তারা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে।”

চালকের উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর পুলিশ তাকে হাসপাতালে পাঠায়। তার অবস্থা স্থিতিশীল।


🔸 প্রশাসনের পদক্ষেপ

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস তৎপরতার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তদন্ত শুরু করেছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং আশুলিয়ার আশেপাশের এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে বাসে আগুন দেওয়ার পেছনের উদ্দেশ্য অনুসন্ধান করছে। তারা সন্দেহ করছে, এটি পরিকল্পিত হামলা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক বা অপরাধমূলক সংঘর্ষের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে।


🔹 স্থানীয় প্রতিক্রিয়া

আশুলিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে প্রশাসন আরও কঠোর পদক্ষেপ নিক। তারা বাস ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।


🔸 বিশ্লেষণ

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাভারের এই ঘটনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি চ্যালেঞ্জ স্বরূপ। পরিকল্পিত হামলা ও গুলিবর্ষণ সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করার পাশাপাশি সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্য বহন করছে। প্রশাসনের দায়িত্ব, দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।


নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম