বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নির্দেশে সিলেটের প্রখ্যাত নেতা ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট-৪ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। বুধবার, ৫ নভেম্বর, খালেদা জিয়ার বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকের পর আরিফুল হক নিশ্চিত করেছেন, তিনি চেয়ারপারসনের নির্দেশ মেনে সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করবেন। তিনি বলেন, অতীতেও দলের প্রয়োজনে তিনি সবসময় চেয়ারপারসনের আদেশ পালন করেছেন এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবেন। এই মনোনয়নটি সিলেট-৪ এলাকায় বিএনপির রাজনৈতিক প্রভাব আরও দৃঢ় করবে এবং আসন্ন নির্বাচনে দলের অবস্থান শক্ত করবে।
সিলেট-৪ আসনে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার খবরে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সিলেটের বহুল আলোচিত নেতা ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশে আসনে নির্বাচন করবেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে খালেদা জিয়ার বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকের পর আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “দলের চেয়ারপারসনের নির্দেশ আমি কখনোই অমান্য করি না। তাই সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করবো, সব আল্লাহর ইচ্ছা।”
আরিফুল হক চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের রাজনৈতিক পরিসরে সক্রিয়। সাবেক মেয়র হিসেবে তার প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দক্ষতা স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। বিএনপি চেয়ারপারসনের তত্ত্বাবধানে তার এই মনোনয়ন শুধু দলীয় কৌশল নয়, বরং সিলেট-৪ আসনে দলের শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চেয়ারপারসনের নির্দেশে নির্বাচন করার বিষয়টি আরিফুল হক চৌধুরীর জন্য নতুন কিছু নয়। অতীতে, দলের প্রয়োজনে তিনি বারবার দায়িত্ব পালন করেছেন। সিলেট-৪ আসনে এবার তার মনোনয়ন চূড়ান্তভাবে ঘোষণা হওয়ায় স্থানীয় দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা স্বস্তি পেয়েছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে তার উপস্থিতি ভোটপ্রার্থী হিসেবে শক্তিশালী প্রতিযোগিতার প্রতিফলন ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সিলেট-৪ আসনটি সবসময়ই রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। এখানে ভোটপ্রার্থী হিসেবে আরিফুল হক চৌধুরীর মনোনয়ন জেলা ও কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক মহলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এছাড়া, বিএনপির নির্বাচনী কৌশলকে শক্তিশালী করবে, বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলের অবস্থান দৃঢ় করতে সহায়তা করবে।
আরিফুল হক চৌধুরী জানান, তিনি সবসময়ই দলের নির্দেশ পালন করেছেন এবং দলের প্রার্থীর দায়িত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, “চেয়ারপারসন আমাদের জাতীয় মুরুব্বী। আমি তার নির্দেশ মেনে চলি, এবং চলব। সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করার আদেশ আমি মাথা পেতে মেনে নিয়েছি। এটি শুধু আমার দায়িত্ব নয়, বরং জনগণের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতিও।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিলেট-৪ আসনে আরিফুল হক চৌধুরীর মনোনয়ন স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তাপ সৃষ্টি করবে। বিএনপির অভিজ্ঞ নেতা হিসেবে তার দক্ষতা এবং জনপ্রিয়তা ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করবে। এর পাশাপাশি, আসন্ন নির্বাচনে স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় সমন্বয় ও সমর্থন বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে, স্থানীয় জনগণও আশা প্রকাশ করেছেন যে আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সিলেট-৪ আসনে উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন সহজ হবে। সাবেক মেয়রের অভিজ্ঞতা ও প্রশাসনিক দক্ষতা জনসাধারণের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরিতে সহায়তা করবে।
বিজ্ঞানভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বলছে, এই মনোনয়ন শুধু নির্বাচনী কৌশল নয়, বরং দলের ঐতিহ্য ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যের একটি প্রতিফলন। আরিফুল হক চৌধুরীর দীর্ঘ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মজীবন দলকে শক্তিশালী করবে এবং ভোটারদের মধ্যে দৃঢ় বিশ্বাস তৈরি করবে।
সার্বিকভাবে, সিলেট-৪ আসনে আরিফুল হক চৌধুরীর মনোনয়ন শুধু স্থানীয় রাজনীতিতে নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও গুরুত্ব বহন করছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্দেশে এই মনোনয়ন দলের রাজনৈতিক শক্তিকে দৃঢ় করবে এবং আসন্ন নির্বাচনে শক্ত প্রতিযোগিতার সুযোগ তৈরি করবে।
