স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নে ভরসার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়া পদে চার বছর ধরে অস্থায়ীভাবে চাকরি করে আসছেন মোসা. রোকছানা আক্তার।
এর মধ্যেই গত ২১ এপ্রিল ওই বিদ্যালয়ে আয়া পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এতে রোকছানা আক্তারও অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তাকে বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে অন্য উপজেলার এক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোকছানা আক্তার অভিযোগ করেন, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমাকে স্থায়ীভাবে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম গত চার বছর ধরে অল্প ভাতা দিয়ে আসছেন। আমি চাকরি পাওয়ার আশায় অল্প টাকাতেই আয়া পদে কাজ করেছি। আমার অগ্রাধিকার থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অন্যকে নিয়োগ দিয়ে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় রোকছানা আক্তার গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের অনুলিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম খাঁন এমপি, জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকেও দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভরাসার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গত ৪ বছর ধরে খণ্ডকালীন আয়া পদে চাকরি করে আসছেন রোকছানা। তবে নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ার কারণে তার চাকরি হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলেছি। সূত্র ঃ যুগান্তর ২৬ এপ্রিল।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে একটি বিদ্যালয়ে আয়া পদে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে নিয়োগ বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম মোসা. রোকছানা আক্তার। তিনি স্থানীয় ছয়গড়িয়া গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাবের মেয়ে।
বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি ও প্রধান শিক্ষক তাকে অল্প কিছু ভাতা দিয়ে চাকরিটি স্থায়ী করার আশ্বাস দিয়ে এতদিন তাকে আয়া পদে বহাল রেখেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান বলেন, রোকছানা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। দীর্ঘ দিন ধরে সেখানে চাকরি করে আসছেন। এজন্য তার অগ্রাধিকার ছিল।