মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলায় বাপ ছেলে দু জনের জাপ্তজীবন কারাদণ্ড

 মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলায় বাপ ছেলে দু জনের জাপ্তজীবন কারাদণ্ড

মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলায় বাপ ছেলে দু জনের জাপ্তজীবন কারাদণ্ড
মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলায় বাপ ছেলে দু জনের জাপ্তজীবন কারাদণ্ড






গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ইসহাক ফকির হত্যা মামলায় বাপ ছেলে দু জনের জাপ্তজীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ।

দীর্ঘ ১১ বছর পর সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় প্রদান করেন।

দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- গোপালগঞ্জ মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা গ্রামের লুৎফর রহমান মোল্যা (৬৬) ও তার ছেলে আরিফ মোল্যা (৩১)। রায় ঘোষণার সময় আসামি লুৎফর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি আরিফ মোল্যা পলাতক রয়েছেন।


আরও পড়ুন >>বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবারও প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার

নিহত ইসহাক ফকির গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের মোচনা গ্রামের মৃত রোকন উদ্দিন ফকিরের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ২২ জুলাই ইসহাক ফকির মোচনা গ্রামে নিজের পুকুরে ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করছিলেন। আসামিরা তাদের জমির সীমানা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় তাকে মাটি কাটা বন্ধ করতে বলেন।

এ নিয়ে আসামিদের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায় আসামিরা ইসহাক ফকিরকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেন। পরে নিহতের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আরও পড়ুন >>বীর নিবাসের বরাদ্দ প্রত্যাহারের দাবি

২০১১ সালের ২২ জুলাই নিহত ইসহাক ফকিরের স্ত্রী জাহানারা বেগম রেনু বাদী হয়ে ৫ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মুকসুদপুর থানা একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-ওসমান মোল্যা, ইমারত মোল্যা ও শামসুদ্দিন মোল্যা।

মুকসুদপুর থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ১১ জানুয়ারি ২০১২ সালে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত লুৎফর রহমান মোল্যা ও আরিফ মোল্যাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। অপর দুই আসামিকে ওসমান মোল্যা, ইমারত মোল্যার জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় বেকসুর খালাসের আদেশ দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর সালে মামলার আসামি শামসুদ্দিন মোল্যা মৃত্যুবরণ করেন।

আরও পড়ুন >>সাঁথিয়ায় এলজিইডির মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন- সরকারী সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান খান, অ্যাডভোকেট শামছুন্নাহার ও অ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান খোকন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আহম্মেদ নওশের আলি। তিনি বলেন, রায়ে আইনের সঠিক প্রয়োগ হয়নি। এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। আসামির পক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।









নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম