মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাদ দেওয়ার দাবি। sainiktvnews


 মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাদ দেওয়ার দাবি। মুক্তিযোদ্ধারা ভাতার জন্য যুদ্ধ করেননি। দেশ স্বাধীন হওয়ার জন্য যুদ্ধ করেছে। আমরা কখনো ভাবিনি ভাতা দেওয়া হবে। এখন ভাতা দেওয়ার সময় সামান্য নামের ভুলসহ নানা সমস্যা দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করা হচ্ছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) রাজাকারদের নাম তালিকাভুক্ত করলে প্রধানমন্ত্রী তা বাতিল করে দেন। এখন আবার তাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এবার রাজাকারের তালিকায় নামে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।

মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে রাজাকার  মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাদ দেওয়ার দাবি।


 রাজাকারদের তালিকা প্রণয়নের দায়িত্ব জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে (জামুকা) দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।


মানববন্ধনে অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতিতে সংগঠনের সভাপতি জহির উদ্দিন জালাল (বিচ্চু জালাল) বলেন, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা), মুক্তিযোদ্ধা অধিদপ্তর কারা? আমরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে যুদ্ধ করেছি। আজকে যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কোনো ধারণা রাখেনি, এক পিয়ন থেকে শুরু করে পরিচালক পর্যন্ত তাদের মুক্তিযুদ্ধের কোনো চেতনা নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানির জন্য তারা নাম থেকে শুরু করে সব ধরনের ভুল করে থাকে। এটা আবার ঠিক করতে অনেক টাকা খরচ হবে বলে মনে হচ্ছে। ভাতা বন্ধ। একজন অভিযোগ করছেন কিন্তু যিনি অভিযোগ করেছেন তাকে সামনে আনা হচ্ছে না। '


তিনি আরও বলেন, ‘জামুকা আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। আপনারা তিনজন (তারা ঠিক করে) মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আসুন। তুলে নিয়ে গেলে হয়রানি করে। আবার পছন্দের কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাদের পছন্দের তিনজন মুক্তিযোদ্ধার নামসহ হাজির হতে বলা হয়। এভাবে তারা টাকা দিয়ে লোকেদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে, ভাতা দেওয়ার প্রচলন করছে। এটা কোন ধরনের ন্যায়বিচার? '


মুক্তিযোদ্ধা প্রতিরোধ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতা আহসানুল হক মিনু বলেন, জামুকা এখনো মুক্তিযোদ্ধা তালিকা অর্ধেক করতে পারেনি। এই জামুকা রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম দিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তা বাদ দিয়েছেন। আমরা জানতে পেরেছি জামুকাকে আবার রাজাকারদের তালিকা করার নির্দেশ দেওয়া হবে। তাই আমরা রাস্তায় নেমেছি। যাতে এটি করা না হয়। রাজাকার তালিকার নামে যেন টাকা নষ্ট না হয় সেজন্য সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সজাগ থাকতে হবে। '


তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা ভাতার জন্য যুদ্ধ করিনি। ভাতা না দিলে আপত্তি নেই। কিন্তু একটি চক্র মুক্তিযুদ্ধ করে যে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যে সম্মান পেয়েছি, সেই সম্মান কেড়ে নিতে চলেছে; যারা অনুপস্থিতিতে অভিযোগ করে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। রাজাকারের নতুন তালিকার নামে টাকা না দিলে মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বানানো চলবে না। প্রধানমন্ত্রী ভুল সিদ্ধান্ত নেবেন না।


বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বীরপ্রতীক বাহাউদ্দিন রেজা, জয়বুর আলম আবদুল্লাহ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারসহ অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম