কে-এ বীরাঙ্গনা মক্তা বেগম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায়।
কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম উঠল মুক্তা বেগমের?স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও মুক্তিযোদ্ধা তালিকা নিয়ে চলছে নয়-ছয়। তালিকায় থাকা এক নারীকে নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থানে নারায়ণগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা।
গবেষণা বলছে, তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন, বরং দেশের মা বোনদের তুলে দিয়েছিলেন পাকিস্তানিদের হাতে। অন্যদিকে, খোদ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর দাবি তিনি বীরাঙ্গনা।
কিভাবে মুক্তা বেগমের নাম আসলো মুক্তিযোদ্ধা তালিকায়, সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন মাসুদ মোস্তাহিদ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ। বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল এ ইতিহাসে নারায়ণগঞ্জের মুক্তা বেগমের ভূমিকা কি ছিল? পরস্পরবিরোধী অবস্থানে জেলার মুক্তিযোদ্ধারা। কেউ বলছেন, তাকে বীর প্রতীক গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে দেখেছেন। অনেকের দাবি তিনি পাকিস্তানি গুপ্তচর।বোঝাই যাচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে কোথায় যেন ষড়যন্ত্রে হচ্ছে। কিন্তু কারা সেই ষড়যন্ত্রকারী? কথা হয় স্থানীয় অনেকের সঙ্গে। তারা বলেন, অত্র এলাকায় আর কোন মুক্তা বেগমের অস্তিত্ব তাদের জানা নেই। ২০১১ সালে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে, তালিকা থেকে মুক্তা বেগমকে বাদ মুক্তা বেগমকে নিয়ে চমকে ওঠার মতো তথ্য দিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ এবং মুক্তিযুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বইয়ের গবেষক রীতা ভৌমিক।কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ঠাঁই পেলেন মুক্তা বেগম? চেষ্টা ছিল সে প্রশ্নের উত্তর জানার।এবার স্বয়ং মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন। তিনি জোর দিয়ে বললেন মুক্তা বেগম বীরাঙ্গনা।স্বাধীনতার ৫১ বছর পর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে এমন বিতর্ক হতাশ করে বর্তমান প্রজন্মকে। তাই কোনো ধোঁয়াশা নয়, স্বচ্ছ ও নির্ভুল মুক্তিযোদ্ধা তালিকা দেখতে চান সকলে।