মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে বেসরকারি হাসপাতাল।
ঠাকুরগাঁওয়ের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের হলরুমে ভাড়ায় চলছে বেসরকারি হাসপাতাল। এর তীব্র সমালোচনা করছেন জেলার মুক্তিযোদ্ধারা। সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুবোধ চন্দ্র রায় আগস্ট মাস থেকে এক লাখ টাকা জমা দিয়ে মাসিক ১৮ হাজার টাকায় রুম ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের টাঙ্গন নদীর তীরে অবস্থিত তিনতলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সটি ভাড়ায় পরিচালিত হচ্ছে। আর তৃতীয় তলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি হলরুম ও বসার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে সভা-সমাবেশসহ বিশেষ দিবসে কর্মসূচি পালন করা হয়। ওই হলটি এখন বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
জেলার একাধিক মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের বসার পরিবেশ এবং সভা-সেমিনার করার জন্য সরকার ভবনটির তিন তলায় নকশা প্রণয়ন করে। তবে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া থাকায় সেখানে সভা করা যাচ্ছে না। আরেকটা কথা বলার আছে। যারা দায়িত্বে আছেন তারাই ভালো জানেন হাসপাতাল ভাড়া দেওয়া ঠিক কি না। এতটুকু আমরা বলতে পারি। চরম অবিচার করা হয়েছে। ক্লিনিক বা হাসপাতাল ভাড়া নেওয়ার আগে এলাকার পরিবেশ নিয়ে ভাবা দরকার ছিল। যেহেতু ভবনটি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য ছিল, তারা এটি নিয়ে আরও ভাবতে পারতেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে হাসপাতালে হল ভাড়া দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে অন্য জায়গায় সভা করা হবে।
জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, "সর্বত্র হাসপাতাল স্থাপনের সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি লাগবে। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।