আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল একদিন বললেন, তিনি নাকি মুক্তিযোদ্ধা। তিনি কোথায় থেকে মুক্তিযুদ্ধ করলেন। তার বাবা ছিলেন, পিস কমিটির রাজাকার। স্বাধীনতার পরে তিন মাস ভারতে পালিয়ে ছিলেন। আবার অদ্ভুত কাণ্ড খালেদা জিয়াও নাকি মুক্তিযোদ্ধা। আমি মির্জা ফখরুলকে জিজ্ঞাস করতে চাই, যে পাকিস্তানি বাহিনী আমাদের দেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে- সেই তাদের আতিথেয়তায় খালেদা জিয়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে ৯ মাস ছিলেন কেন। তিনি কীভাবে মুক্তিযোদ্ধা হলেন। আবার তারা বলে, তারেক জিয়া নাকি শিশু মুক্তিযোদ্ধা। শিশু মুক্তিযোদ্ধা কীভাবে হয়? শিশু মুক্তিযোদ্ধা বলতে কিছু আছে?’
সোমবার (২৮ নভেম্বর) দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে বরেণ্য অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ছবি ঃ সংগৃহীত |
শাজাহান খান বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার জন্য খালেদা জিয়া ২০১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ সালে পুড়িয়ে-পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। একের পর এক দেশে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমান। তারা শুধু ক্ষমতায় থেকে হত্যাকাণ্ড ঘটায়নি- ক্ষমতার বাইরে এসেও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, তারা এক হাজার গাড়ি পুড়িয়েছে, তিন হাজার গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তারপরও তারা শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে পারেনি।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সব থেকে বড় মিথ্যাবাদী কে?’ নেতাকর্মীরা বলেন, মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এই মির্জা ফখরুলকে হারিয়েছেন আমাদের দাদা রমেশ চন্দ্র সেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বিএনপি বড় বড় সমাবেশ করছে, বিভাগীয় সমাবেশ করছে। এ সময় গাড়ির যে ধর্মঘটের কথা বলে হচ্ছে এই ধর্মঘট হলো নীরব প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদ হলো বিএনপি জামায়াত পুড়িয়ে, পিটিয়ে, কুপিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তার বিরুদ্ধে। বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে, আমাদের নির্দেশনায় এসব হচ্ছে। আমরা হলফ করে বলতে পারি, আমরা এ বিষয়ে কোনও নির্দেশনা দেইনি।’