নাটোরে সন্তোষ কুমার সরকার নামে এক মুক্তিযোদ্ধার নামে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়াম্যানসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
রোববার সকাল ১১টার দিকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এতে লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার সরকার জানান, বর্তমানে তিনি গুরুদাসপুর উপজেলার তেলটুপি গ্রামের বাসিন্দা। তার মুক্তিযোদ্ধা নম্বর ০১৬৯০০০০৪৫৫। তিনি তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছেন। কিন্ত গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর একই উপজেলার সিধুলী গ্রামের মৃত সন্তোষ কুমার সরকারের স্ত্রী সাধনা বালা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়াম্যানসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছে।
তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাধনা বালার স্বামীর নাম ও মুক্তিবার্তা নাম ঠিক রেখে ঠিকানা ও বাবার নাম পরিবর্তন করে সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন তিনি। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে সেই অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। দেশের জন্য যুদ্ধ করে শেষ বয়সে এমন অপপ্রচার ও হয়রানী বন্ধে কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দয়রামপুরের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি ও সন্তোস কুমার সরকার একসাথে যুদ্ধ করেছেন। সন্তোষ পাকিস্থান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। তার জন্মস্থান লালপুরে হলেও তিনি বিয়ে করে গুরুদাসপুরের তেলটুপি গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সেখান থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা থেকে শুরু করে সরকারী সকল সুবিধা গ্রহণ করেন। অপরদিকে, সাধনা বালার স্বামী সন্তোষ কুমার সরকার জীবিত থাকা অবস্থায় কখনও নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবী করেননি। ১৯৭১ সালে তিনি ভারতেও যাননি।
অভিযোগকারী সাধনা বালা মোবাইল ফোনে জানান, তিনি মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়াম্যানসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার মুত স্বামীই মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার সরকার দাবী করে সাধনা বালা আরও বলেন, তদন্ত শেষে বোঝা যাবে কে আসল আর কে নকল।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মকছেদ আলী মোল্লা, খন্দকার আবুল কালাম আজাদ, গুরুদাসপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোলাইমান আলী বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।