##
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা। এটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক (জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র)। তরুণরা এ সিনেমা দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, এই বায়োপিকের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ কিংবা বঙ্গবন্ধুকে দেখার সাধ পূরণ হয়েছে।
###
শুক্রবার বিকেল ৩টায় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সারাদেশে একযোগে প্রদর্শিত হয়েছে। পটুয়াখালীর তিতাস সিনেমা হলে বায়োপিকটি দেখতে ভিড় জমায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আশিষ কুমার হৃদয় বলেন, ‘আমরা তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ কিংবা বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি।
চিকিৎসার জন্য তিন লাখ টাকা সিদ্ধান্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এ সিনেমার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পেরেছি।লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারির সহকারী শিক্ষক উত্তম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি, এ ধরনের সিনেমা তৈরি করা জাতির জন্য জরুরি। ছবিটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
আমলাদের চক্রান্তেই মুক্তিযোদ্ধা কোটার অপমৃত্যু ঘটেছে-
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখার জন্য দুপুর আড়াইটার পর থেকেই তিতাস সিনেমা হলে আসতে থাকেন দর্শক। ৩২০ আসনবিশিষ্ট এ হলটি দ্রুতই পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে বায়োপিক প্রদর্শনের উদ্যোগ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সুলতান আহমেদ মৃধা। তিনি হলের ৩২০টি আসনের সবক’টি টিকিট কিনে নেন। পরে তা বিতরণ করেন দলীয় নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মী, নারী প্রতিনিধিসহ তরুণ প্রজন্মের মাঝে। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখতে আসেন কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন এমপি, জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নানসহ অনেকে।
জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, সিনেমাটির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্দীপনা ও অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হবে।
