সর্বশেষ ১৬ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রনালয় প্রকাশিত সনবাদ ( muktijuddha news bangladesh) মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ দফা দাবি

 সর্বশেষ ১৬ এপ্রিল২০২৫ মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রনালয় প্রকাশিত সংবাদ ( muktijuddha news bangladesh) মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ দফা দাবি

৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তদন্ত চলছে


মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ দফা দাবি তুলে ধরলেন মনসুর আহাম্মেদ: ভাতা বঞ্চিতদের অন্তর্ভুক্তি ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিতকরণের আহ্বান

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নরসিংদী জেলা কমান্ডের সাবেক ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আহাম্মেদ এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, এখনও অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ভাতা থেকে বঞ্চিত, অন্যদিকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা সুবিধা ভোগ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য নেতৃস্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত থেকে দাবিগুলোর প্রতি সমর্থন জানান। দাবি সমূহের মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে স্থাপনা ও রাস্তার নামকরণ, ভূমিহীনদের জন্য জমি বরাদ্দ, গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্তি, সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি, এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নিয়মিত নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আহ্বায়ক কমিটি গঠনের আহ্বান।

মনসুর আহাম্মেদ-এর উপস্থাপিত ১০ দফা দাবি:

  1. প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও ভাতা থেকে বঞ্চিতদের সঠিক যাচাই-বাছাই করে ভাতার আওতায় আনা।

  2. যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে রাস্তা ও স্থাপনার নামকরণ।

  3. ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারি জমিতে বসবাসের ব্যবস্থা।

  4. বিগত সরকারের সময়ে গঠিত বিতর্কিত জেলা ও উপজেলা কমান্ড বাতিল করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন।

  5. যেসব মুক্তিযোদ্ধা অস্ত্র জমা দিয়ে রশিদ নিয়েছেন, তাদের নাম সরাসরি সরকারি গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা।

  6. ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে তাদের ভাতা বন্ধ করা।

  7. মুক্তিযোদ্ধা সংসদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন।

  8. মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি।

  9. ১৯৭১ সালের বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ ও শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ।

  10. মুক্তিবার্তায় নাম থাকা অথচ ভাতা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ভাতার আওতায় আনা।


তুমি কাপুরুষ, পালিয়ে বাঁচতে পারবে না" — ডিএনডি দুর্দশা, শেখ হাসিনার সরকার ও অতীত আন্দোলন নিয়ে গিয়াসউদ্দিনের তোপ

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এক ঈদ শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে সরকার এবং স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ডিএনডির জনগণ আজও সামান্য বৃষ্টিতেই চরম দুর্ভোগে পড়ে, অথচ কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। তিনি শামীম ওসমানকে ‘কাপুরুষ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, অতীতে যেমন পালিয়েছেন, এবারও পালিয়ে গেছেন।
শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে দমন-পীড়নের কাহিনী তুলে ধরে তিনি বলেন, আন্দোলনের কারণে অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে। ৫ আগস্টের পরে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।
নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং নারায়ণগঞ্জে ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন গিয়াসউদ্দিন।


৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তদন্ত চলছে: ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ আজ রাজনৈতিক বাণিজ্যের বলি’ — মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ যাচাই-বাছাই করছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। এ পর্যন্ত ৪০ হাজারের তথ্য এন্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে, বাকি ৫০ হাজার প্রক্রিয়াধীন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাসস-এ দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে আজ দলীয় রাজনীতির রঙে রঙিন করা হয়েছে।

১৯৭১ সালের অপারেশন জ্যাকপটের ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে তাঁর যুদ্ধ অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আজ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান হারিয়েছেন, আর কিছু সুবিধাভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে রাষ্ট্রীয় সুযোগ নিচ্ছেন। সরকার এখন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা ও রণাঙ্গনের যোদ্ধাদের মধ্যে পৃথক শ্রেণীবিন্যাসের চিন্তা করছে।

তিনি জানান, যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসাথে শহীদ পরিবারদের শনাক্ত করে রাষ্ট্রীয় সহায়তার আওতায় আনার পদক্ষেপও নেয়া হচ্ছে। ফারুক ই আজম বলেন, ‘‘আমি যুদ্ধ করেছি দেশের জন্য, কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্য নয়। এখন সময় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সম্মান ফিরিয়ে আনার।’’



নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম